সংক্ষিপ্ত
এবার সিবিআই-এর নজরে 'শিবশম্ভু' রাইস মিল। সোমবার সকালে এই চালকলে হানা দেয় সিবিআই। বোলপুরের বাঁধগড়া এলাকায় অবস্থিত এই চালকল। এই চালকলের মালিকানা অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষে নামে কি না সেই নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
চুলচেরা তদন্ত চলছে বোলপুর জুড়ে। একের পর এক মিলে হানা দিচ্ছে সিবিআই আধিকারিকরা। 'বোম ভোলে' রাইস মিলের পর এবার সিবিআই-এর নজরে 'শিবশম্ভু' রাইস মিল। সোমবার সকালে এই চালকলে হানা দেয় সিবিআই। বোলপুরের বাঁধগড়া এলাকায় অবস্থিত এই চালকল। এই চালকলের মালিকানা অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষে নামে কি না সেই নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও রাজা ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন এই মিলের মালিক সে নয়, এমনকী এর মালিকানা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেছেন রাজা।
বোলপুরের বাঁধগোড়া এলাকার ১০-১২ বিঘা জমির উপর তৈরি এই চালকলের জমি শিবানী ঘোষ নামে এক মহিলার থেকে লিজে নেওয়া বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বীরভূমের চালকল অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই রাইস মিলের কনট্যাক্ট পার্সন হিসাবে নাম আছে কমলকান্তি ঘোষের। ঘটনাচক্রে যেহেতু অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষের মা ও বাবার নাম ও শিবানী ঘোষ এবং কমলকান্তি ঘোষ, তাই এই মিলের মালিকানার নিয়ে স্বভাবতই সন্দেহের তির যাচ্ছে রাজা ঘোষের দিকে। তবে একটি সংবাদ মাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে রাজা স্পষ্ট জানিয়েছেন ওই চালকল কার তা রাজা জানেন না, এমনকী তাঁর বাবা বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে গত দু'বছর ধরে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলেও দাবি অনুব্রতর ভাগ্নের। তিনি আরও বলেন, "আমি জীবনে ওই রাইস মিলে পা দিইনি, আমার সঙ্গে ওই মিলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওখানে কী আছে না আছে আমি কিছুই জানি না, ওখানকার কেউও আমাকে কোনওদিন দেখেনি। আমি এবং আমার স্ত্রী পারমিতা মোহনানন্দ রাইস মিলের ডিরেক্টর।’’
আরও পড়ুন - রাইস মিলের গ্যারেজে তৃণমূলের স্টিকার লাগানো সারি সারি গাড়ি, গোরু পাচার কাণ্ডে আরও চাপে অনুব্রত
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংবাদমাধ্যমে নাম উঠে আসার বিষয়ও ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য অনুব্রত মণ্ডলের তো আরও পাঁচ ভাগ্নে রয়েছে। আর অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয় হওয়া কি তাঁদের অপরাধ? তিনি আরও বলেন, যে রক্তের সম্পর্ক তো মুছে ফেলা যায় না, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বার বার তাঁদের আক্রমণ বা হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন - ‘গাড়ি চড়বি, নাকি প্রাণে বাঁচবি’, মালিককে প্রাণের হুমকি দিয়ে গাড়ি আটকে রেখে দিয়েছিলেন অনুব্রত!