সংক্ষিপ্ত

বাসন্তী ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, হোগল নদীতে শুক্রবার সকালে অমাবস্যার ভরা কোটালের জেরে বেড়ে যায় জলস্তর। ভাঙন দেখা যায় নদী বাঁধে। নদীর পশ্চিম পাড়ে ধস নামতে শুরু করে। 

দুর্গাপুজোর (Durga Puja) ঠিক আগেই নদী বাঁধে (River Barrage) ধস নামল। এর জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী থানার (Basanti Police Station) অন্তর্গত রাধাবল্লভপুরের বহু বাড়ি তলিয়ে গেল হোগল নদীতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। শুক্রবার সকাল থেকেই নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। প্রায় শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

বাসন্তী ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, হোগল নদীতে শুক্রবার সকালে অমাবস্যার ভরা কোটালের জেরে বেড়ে যায় জলস্তর। ভাঙন দেখা যায় নদী বাঁধে। নদীর পশ্চিম পাড়ে ধস নামতে শুরু করে। এরপর একের পর এক বাড়ি তলিয়ে যায় নদী গর্ভে। এর ফলে প্রাণহানি না হলেও বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনার পরই এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে নিরাপদ স্থানে যান সরে যান তাঁরা। 

তবে যাঁদের বাড়ি ঘর নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে তাঁরা অবশ্য নিজেদের কোনও প্রয়োজনীয় জিনিসই ঘর থেকে বের করতে পারেননি। কোনও কিছু বোঝার আগেই তলিয়ে যায় বাড়ি। ফলে কোনমতে প্রাণ হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা সুরজ শেখ, রমজান খানরা বলেন, "কোনওমতে প্রাণে বেঁচেছি। বাড়িঘর, দরকারি কাগজ, নথি সবই গিলে খেয়েছে নদী। জানি না এবার কোথায় যাব, কি খাব, সন্তানের মুখে বা কী দেব?" 

আরও পড়ুন- "যত তাড়াতাড়ি চলে যান, ততই ভালো", সব্যসাচীর ঘরওয়াপসি নিয়ে মন্তব্য দিলীপের

এলাকার মানুষের অভিযোগ, দিনের পর দিন সেচ দফতর এই এলাকায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ করেনি, আর সেই কারণেই এই নদীবাঁধে ধস নেমেছে। এই এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কথা থাকলেও বর্তমানে তার কিছুই হয়নি। এদিন নদী বাঁধে ধস নামার পর স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিক, পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্য জন প্রতিনিধিরা এলাকা পরিদর্শন করেন। কিন্তু, সেখানে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। 

আরও পড়ুন- করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ না মানলে সুপার স্প্রেডার হতে পারে দুর্গাপুজো, সতর্ক করল আইসিএমআর

দ্রুত এলাকায় বাঁধ মেরামতির আশ্বাস দিয়ে কোনমতে নিস্তার পান তাঁরা। এ প্রসঙ্গে বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা বলেন, "বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এলাকার বাঁধে ফাটল ধরেছিল, কিন্তু এভাবে এত বড় এলাকা নিয়ে ধস নামবে তা বোঝা যায়নি। যাই হোক, সেচ দফতরকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার দুর্গত মানুষকে ত্রাণ শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।" 

আরও পড়ুন- টিকা নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন, টিকাকেন্দ্রে বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিরুদ্ধে

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, "দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করার কথা ঘোষণা করা হলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। সেই কারণে এত মানুষের ক্ষতি হল। আমাদের পুনর্বাসন দিয়ে এই এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করতে হবে।"

YouTube video player