সংক্ষিপ্ত

প্রথমে অবশ্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের প্রধান অর্ণব ঘোষ জানিয়েছিলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোতেও চন্দননগরে বহাল থাকছে নাইট কারফিউ। উচ্চপর্যায়ের নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত নাইট কারফিউ চলবে। 

জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja) মহাষ্টমী ও মহানবমীতে (Ashtami and Navami) থাকছে না নাইট কারফিউ (Night Curfew)। তবে, এই ছাড় শুধুমাত্র দেওয়া হয়েছে নদিয়া (Nadia) ও হুগলি (Hooghly) জেলার জন্য। এই দুই জেলা ছাড়া বাকি জেলায় রাত ১১ থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত আগের মতই বহাল থাকবে বিধিনিষেধ (Restriction)। 

প্রথমে অবশ্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের (Chandannagar Police Commissioner) প্রধান অর্ণব ঘোষ জানিয়েছিলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোতেও চন্দননগরে বহাল থাকছে নাইট কারফিউ। উচ্চপর্যায়ের নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত নাইট কারফিউ চলবে। করোনা পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও কমিশনারের এই সিদ্ধান্তে পুজো উদ্যোক্তা থেকে দর্শনার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তারপরই এই সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেয় রাজ্য সরকার। নবান্নের (Nabanna) তরফে নয়া নোটিশ জারি করা হয়। 

আরও পড়ুন- নিয়ম ভেঙে একই হাসপাতালে বহু বছর, ৬ হাজার চিকিৎসকে বদলির সিদ্ধান্ত

এই নোটিশে জানানো হয়েছে, নদিয়া এবং হুগলি জেলায় আগামী ১২ নভেম্বর এবং ১৩ নভেম্বর নাইট কারফিউ বহাল থাকবে না। করোনা আবহে এবারে দুর্গাপুজো, কালীপুজোতে নাইট কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। জগদ্ধাত্রী পুজোতেও তার অন্যথা হল না। জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা মাথায় রেখে চন্দননগরের রবীন্দ্রভবনে সোমবার একটি গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেছিলেন পুলিশ কমিশনার। তিনি জানান, প্রশাসনের তরফে এই বছর ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর মিলিয়ে মোট ৩০০ টি পুজোকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সর্বস্তরের মোট দেড় হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকছে এই দুই জায়গার পুজো মণ্ডপে। এছাড়াও নজর রাখতে চন্দননগর শহরে মোট ৫০টি সিসি টিভি চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে যাতে কেউ হারিয়ে না যায় তার জন্য ঠাকুর দেখতে আসা শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- রাজ্যে কমছে শীত শীত আমেজ, বাড়ছে তাপমাত্রা

এছাড়া ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দুপুর ২টো থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত চন্দননগরে নো এন্ট্রি জোন করা হয়েছে। অর্থাৎ সড়ক পথে গাড়ি করে ওই সময়ে চন্দননগর প্রবেশ করা যাবে না। জরুরিকালীন কিছু পাস দেওয়া হয়েছে। যাঁদের কাছে সেই পাস রয়েছে তাঁরাই গাড়ি নিয়ে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন। মূলত রাস্তায় যাতে দর্শনার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্যই প্রতি বছর এই ব্যবস্থা করা হয়। এবার যেহেতু নিরঞ্জনের সময় শোভাযাত্রা হবে না তাই অধিকাংশ আলোকশিল্পী তাঁদের মুন্সিয়ানা দেখাতে  জিটি রোড আলোর তোরণ দিয়ে মুড়ে দিয়েছেন। তাই এবার বাড়তি আলো দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। 

আরও পড়ুন- রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগ, দেখুন বিস্তারিত

রাজ্য থেকে করোনা এখনও পর্যন্ত বিদায় নেয়নি। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে-কমছে। তবে হাজারের মধ্যেই রয়েছে সংখ্যাটা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আবার একের পর এক উৎসব লেগে রয়েছে রাজ্যে। তার মধ্যেই রয়েছে জগদ্ধাত্রী। এই পুজোকে কেন্দ্র করে চন্দননগরে ইতিমধ্যেই মানুষের ঢল নেমে গিয়েছে। আজ ষষ্ঠী। এদিন থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে চন্দননগরে। কিন্তু, এই উৎসবের মধ্যেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। তবে তার মধ্যেও দুই জেলায় শিথিল করা হল নাইট কারফিউ। 

YouTube video player