সংক্ষিপ্ত

রামপুরহাট বগটুই গণহত্যা মামলায় আরও ১ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। রিটন শেখ নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। গোটা ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।

রামপুরহাট বগটুই গণহত্যা মামলায় আরও ১ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। রিটন শেখ নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। কয়েকদিন থেকেই তাঁকে খুঁজছিল সিবিআই।অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তথ্য পেয়েই মূলত তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করার পরেই তাকে জেরা শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। গোটা ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।

রামপুরহাটকাণ্ডে ইতিমধ্যেই আনারুল-সহ একাধিক জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তাঁদের জেরা করেই রিটন সম্পর্কে জানতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দল। এরপরেই টোটচালক রিটন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে সিবিআই তদন্ত হাতে নেওয়ার পর কয়েকদিন আগেই বগটুই গণহত্যায় আসে নাটকীয় মোড়। যিনি এতদিন ধরে গণহত্যার ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর বয়ান দিচ্ছিলেন তাঁকেই এবার গ্রেফতার করে সিবিআই। আর এই ব্যক্তি কেউ নন, বগটুই গণহত্যায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের শ্বশুর সমীর শেখ। তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর বগটুই গ্রামে একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ হয়েছিল। যার জেরে জীবন্ত পুড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ২টি শিশু। ৬ জন মহিলা এবং একজন পুরুষ। লালন শেখের শ্বশুর সমীর শেখ জানিয়েছেলন রাত দেড়টা দুটো নাগাদ হন্তদন্ত হয়ে জামাই এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গীকে বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলেন। এর খানিক পরেই সকলে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ লালন শেখ। বগটুই গণহত্যায় এই বয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় লালন শেখ মূল অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন, ধৃত সত্যবানের হোটেল থেকেই কি তপন কান্দু খুনের ষড়যন্ত্র ? বিস্ফোরক তথ্যের তদন্তে সিবিআই

আহও পড়ুন, 'বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মেয়ের মৃতদেহ তুলে পোড়ানো হয়েছে', হাঁসখালিকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি পরিবারের

পুলিশেও যে এফআইআর দায়ের হয়েছে তাতেও লালন শেখ এবং তার দলের নাম রয়েছে।  বগটুই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ এবং ব্রোকারি, কনট্রাক্টরি থেকে আসা বখরা নিয়ে লালনদের সঙ্গে বিরোধ বেঁধেছিল ভাদুদের। যার জেরে লালনদের হাতেই ভাদুর দাদা খুন হয়ে যান। এরপর থেকে লালনদের নিশানাতেও ছিলেন ভাদু। এখন পর্যন্ত যা বয়ান নথিভুক্ত হয়েছে তাতে লালনরা ভাদুকে খুন হওয়ার পরই ভাদু বিরোধীদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয় এবং বাড়িতে ঢুকে মহিলা ও শিশুদের উপরে অত্যাচার করা হয়। যেখানে জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।  সিবিআই বগটুই থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে  সমীর শেখকে লাগাতার জেরা করে। সিবিআই সূত্রে খবর জেরায় বারবার অসংলগ্ন বয়ান দেন সমীর। একেক সময় এক এক কথা বলছিলেন তিনি।  জেরায় আরও স্পষ্ট হয় যে সমীর শেখ বহু জিনিস আড়াল করার চেষ্টা করছেন যার সঙ্গে বগটুই গণহত্যার গভীর যোগ রয়েছে। এরপরই সিবিআই সমীর শেখকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

আরও পড়ুন, 'ভালোবাসার পর তাঁকে পুড়িয়ে ফেলার অধিকার আছে কি', ধর্ষণকাণ্ডে মমতাকে প্রশ্ন তনুজার