সংক্ষিপ্ত
- নদিয়ার বীরনগরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
- পুরসভার চেয়ারম্যান বনাম ভাইস চেয়ারম্যানের লড়াই
- সংঘর্ষে দু' পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত
ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যার জেরে এবার প্রকাশ্যেই সংঘর্ষে জড়ালেন পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান। দুই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের লড়াইতে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নদিয়ার বীরনগর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড। ঘটনায় দু' পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে বীরনগর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের একটি শিশু উদ্যানের কাজ খতিয়ে দেখতে যান পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, তখনই সেখানে হাজির হন ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দ পোদ্দার এবং তাঁর অনুগামীরা। পার্থবাবুর অভিযোগ, গোবিন্দ পোদ্দার তাঁর দলবল নিয়ে পার্কের কাজে বাধা দেন। লাঠি এবং অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পুরপ্রধানের।
পার্থবাবুর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বীরনগর পুরসভায় সরকারি টাকায় কোনও প্রকল্পের কাজ করতে দিচ্ছেন না ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দ পোদ্দার। তাঁর অভিযোগ, সরকারি টাকা নয়ছয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি তা ধরে ফেলাতেই তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ পুরপ্রধানের।
পার্থবাবুর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে অবশ্য পাল্টা পুরপ্রধানের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দবাবু। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, মাত্র একবছর আগে ওই পার্কটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু টাকা নয়ছয় করতেই ফের ওই পার্কের নতুন সমস্ত সামগ্রী ভেঙে ফেলে তা ফের বসানোর চেষ্টা করছিলেন পুরপ্রধান। এলাকাবাসীই সেই কাজে ক্ষুব্ধ বলে অভিযোগ ভাই চেয়ারম্যানের। তাঁর দাবি, পার্কের কাজ করে অর্থ অপচয়ের প্রতিবাদ করাতেই তাঁদের উপরে হামলা চালান চেয়ারম্যান এবং তাঁর অনুগামীরা। চেয়ারম্যান পার্থবাবু নিজে তাঁর দিকে ইট ছুড়ে মেরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যানের দাবি, বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর- সহ তাঁর ৩২ জন অনুগামী আহত হয়েছেন। আর ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দবাবুর অভিযোগ, তাঁর শিবিরে আহতের সংখ্যা ৪২।
পার্থবাবু বলেন, 'আমায় যে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, সেকথা আগেও দলকে জানিয়েছি, আবারও জানাব। ঠিকাদার, জমির দালালদের নিয়ে এ দিন ভাইস চেয়াম্যান আমার উপরে হামলা চালিয়েছেন।' পাল্টা ভাইস চেয়ারম্যনা গোবিন্দবাবু বলেন, 'পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে কোনও কাজের বিষয়েই আমাকে জানানো হয় না। গোটা বিষয়টি আমাদের এলাকার বিধায়ক শঙ্কর সিংকে জানাব।'