সংক্ষিপ্ত
গোটা রাজ্যের মানুষ যখন প্রায় ঘুমে আচ্ছন্ন ঠিক তখনই একদল ছাত্রকে বসিরহাট শহরে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। বসিরহাট স্টেশন থেকে শুরু করে টাকি রোড, ইটিন্ডা রোড, নৈহাটি এলাকায় ঘুরে বেড়ান তাঁরা।
বড়দিন (Christmas Day) মানেই কেক (Cake) আর উপহার (Presentation)। তার সঙ্গে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া। আর সেই আনন্দ গায়ে মেখেই শনিবার বড়দিনের সকালে বেড়িয়ে পড়েছিলেন বহু মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বড়দিনের টুপি মাথায় দিয়ে বাবা-মায়ের হাত ধরে চিড়িয়াখানা থেকে শুরু করে নিকোপার্ক, ইকোপার্ক, পার্কস্ট্রিটে ভিড় করেছিল কচি-কাঁচার দল। গা ভাসিয়েছিলেন বড়রাও। শীতের আমেজ (Winter Season) গায়ে মেখে বড়দিনের আনন্দে সামিল হয়েছিলেন অনেকেই। এমনকী, সন্ধে নামার পরও কলকাতার রাস্তায় ঢল নেমেছিল সাধারণের। আলোতে সেজে উঠেছিল তিলোত্তমা। কিন্তু, অসহায় পথশিশু বা ফুটপাথবাসীর ক্ষেত্রে এই দিনটাও ছিল বাকি পাঁচটা দিনের মতোই। কেক তো দূরের কথা পেটভরা খাবার জোটাই তাদের কাছে অনেক বড় বিষয়। আর সেই সব মানুষের কথা চিন্তা করেই তাঁদের জন্য স্যান্টাক্লজের (Santa Claus) ভূমিকায় দেখা গেল কয়েকজন কলেজ ছাত্রকে।
গতকাল সারাদিন বড়দিনের আনন্দে গা ভাসিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তারপর অবশ্য সেই আমেজ গায়ে মেখে, মনে আনন্দ নিয়েই ঘুমাতে গিয়েছিলেন সবাই। গোটা রাজ্যের মানুষ যখন প্রায় ঘুমে আচ্ছন্ন ঠিক তখনই একদল ছাত্রকে বসিরহাট শহরে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। বসিরহাট স্টেশন থেকে শুরু করে টাকি রোড, ইটিন্ডা রোড, নৈহাটি এলাকায় ঘুরে বেড়ান তাঁরা। শহরের ভবঘুরে ও পথশিশুদের কাছে সান্তাক্লজের ভূমিকায় দেখা গেল তাঁদের।
আরও পড়ুন- ওমিক্রন হুমকির মধ্যে বড়দিনে জনাকীর্ণ পার্কস্ট্রিট, ভাইরাল ভিডিও
আরও পড়ুন- শীতের আমেজ গায়ে মেখে ব্যান্ডেল চার্চ ও ইমামবাড়াতে উপচে পড়া ভিড় বড়দিনে
ঘড়িতে তখন ঠিক রাত বারোটা। তখনই সান্তাক্লজের টুপি, বড়দিনের কেক ও সঙ্গে শীতবস্ত্র হাতে নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল অভিষেক, শমিক ও রাজাদের। এরপর রাতের শহরে রাস্তার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ভবঘুরে ও পথশিশুদের হাতে কেক, টুপি ও শীতবস্ত্র তুলে দিলেন তাঁরা। বসিরহাট কলেজের ছাত্র অভিষেক মজুমদারের উদ্যোগে সঞ্চিত অর্থে সবাইকে উপহার দেওয়া হল। বিশেষ করে যাঁরা শীতের রাতে খোলা আকাশের নিচে থাকেন, যাঁদের বাড়ি বলে কিছুই নেই। রাস্তাকেই নিজেদের ঘর বানিয়ে নেন তাঁরা। কখনও ফুটপাথ, কখনও স্টেশন আবার কখনও বাস স্টপেজই তাঁদের কাছে বাড়ি হয়ে ওঠে। তাঁদের কাছে বড়দিনের আলাদা করে কোনও মাহাত্ম্য নেই। আর পাঁচদিনের মতোই তাঁদের এই দিনটি কাটে। আর সেই কারণে সেই সব মানুষের বড়দিনকে সুন্দর করে তোলার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন অভিষেক, শমিক ও রাজারা।