সংক্ষিপ্ত
- আমফান আর খুব বেশি দূরে নেই
- যতদিন সময় যাচ্ছে, ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র
- ঝিরঝিরে বৃষ্টি চলছে দিঘায়
- প্রবল বেগে বইছে হাওয়া
যত সময় যাচ্ছে, ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। প্রবল আক্রোশে জলরাশি যেন আছড়ে পড়ছে উপকূলে! কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। সঙ্গে বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওড়া। ঘুর্ণিঝড় আমফান আছড়ে পড়ার আগে এমনই ছবি ধরা পড়ল দিঘায়।
আরও পড়ুন: 'আমফান'হ্যারিকেন ঝড়ের পঞ্চম পর্যায়ের সমতুল, ঘনীভূত মেঘ প্রবল শীতল বলে জানাল নাসা
কাউন্টডাউন্ট চলছিলই, আর বেশি সময় নেই। বুধবার সন্ধ্যায় বেলায় দিঘা-সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে প্রবল শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় আমফান। বুধবার সকালে ফের একবার সতর্কবার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কলকাতাও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দীঘা থেকে আমফানের অবস্থান মাত্র ১৭৭ কিমি দূরে। ঘুর্ণিঝড় এখন রীতিমতো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, স্থলভাগে প্রবেশ করার পর কলকাতা একেবারেই কান ঘেঁষে চলে যাবে ঝড়। ঝড়ে গতিবেগ থাকবে ১৩০ কিমি। বুধবার সকালে থেকে আকাশের মুখ ভার, বৃষ্টি নেমেছে শহরে।
আরও পড়ুন: উল্টে যেতে পারে কামরা, আমফানের সতর্কতায় বন্ধ একাধিক শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন
আমফান মোকাবিলায় দীঘায় প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে। সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় করে উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করছেন জাতীয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। নিঁচু এলাকা যাঁরা থাকেন, তাঁদের মঙ্গলবার রাতে সরিয়ে আনা হয়েছে আয়লা সেন্টারে। প্রশাসনের তরফে বারবার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, 'কেউ বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। যদি মনে করে, আপনার বাড়িটি মজুবত নয়, তাহলে নিরাপদ স্থান আশ্রয় নিন, প্রয়োজনে সরকারি আশ্রয়স্থলে চলে আসুন।' পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, ঢেউ-র কারণে বুধবার সকালে দিঘায় সমুদ্র সৈকত ওয়াচ টাওয়ারটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।