সংক্ষিপ্ত
দুর্যোগের মাঝেই বুধবার থেকেই চালু হতে চলেছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা। যদিও একাধিক বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, কোর্টে মামলা উঠেছে।
দুর্যোগের মাঝেই বুধবার থেকেই চালু হতে চলেছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবেই কাজ শুরু করছে বাংলার দুয়ারে রেশন প্রকল্প। যদিও একাধিক বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কোর্টে মামলা উঠেছে । তবে রাজ্য খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, কোনওভাবেই এই পাইলট প্রজেক্ট বন্ধ হবে না।
আরও পড়ুন, আজ থেকে পরিস্থিতির উন্নতি দক্ষিণবঙ্গে, দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়
সারা বাংলায় ১৫ শতাংশ দোকানে শুরু হবে দুয়ারে রেশন। এনিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে খাদ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুয়ারে রেশন পাইলট প্রজেক্ট চলাকালীন ক্লাস্টার ভাগ করে প্রতি মাসে, প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে রেশন দেওয়া হবে। প্রতিমাসের রেশন একবারেই পেয়ে যাবেন উপভোক্তারা। একুশের ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আমার মন্ত্রিসভা এলে মা-বোনেরা বাড়ির দুয়ারে রেশন পাবেন। কষ্ট করে আর দোকানে যেতে হবে না।' আর এবার সেই কথাই বাস্তব রূপ পেতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত পেলেই পুরোদমে শুরু হবে এই পাইলট প্রোজেক্ট বলে জানিয়েছে খাদ্য দফতর।
"
আরও পড়ুন, বাবার দেওয়া মোবাইলই কাল হল শুভদীপের, অনলাইন গেমের বলি বছর ২১-র যুবক
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেছেন, তিন হাজারের কিছু বেশি দোকানে ট্রায়াল হবে। বাড়ি বাড়ি যাবেন রেশন ডিলাররা। সরকার তো করেনি। তাই ট্রায়াল হচ্ছে। মূল অংশ শুরু হতে দেরি আছে। ডিলারদের সঙ্গে তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনা চলবে। আমরা আপাতত পরিস্থিতি দেখে নিতে চাইছি।' ইতিমধ্য়েই প্রতি কুইন্টাল ৫০ টাকা কমিশন বাড়ানো হয়েছে রেশন ডিলার সংগঠনের। বায়োমেট্রিক করতে হলে মিলবে কুইন্টাল প্রতি আরও ২৫ টাকা। এই মুহূর্তে কুইন্টাল প্রতি ৭৫ টাকা করে মিলছে। ডিলারদের সব মিলিয়ে দাবি ছিল ২০০ টাকা। সেটা এখন হয়েছে ১২৫ টাকা। রাজ্য সরকার নোটিফিকেশন জারি করে এটা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন, বঙ্গভঙ্গের জন্য উঠছে সওয়াল, অখণ্ড বঙ্গের আন্দোলনে তীব্রতা বাড়াচ্ছে বাংলা পক্ষ
প্রসঙ্গত, খাদ্য দফতরে নির্দেশিকা অনুযায়ী, কবে কোথায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প হবে, তা পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। পূর্ব নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট কোনও পাড়া, গ্রাম বা পল্লিতে খাদ্যশস্য, ই-পস এবং ওজন করার মেশিন নিয়ে হাজির হবেন রেশন ডিলাররা। উপভোক্তাদের প্রাপ্য চাল, গম, চিনি একবারেই দিতে হবে। একই পরিবারের যেকোনও সদস্যই ই-পস যন্ত্রে বায়োমেট্রিক বা আধারকার্ডের প্রমাণ দিয়ে দুয়ারে রেশনে থাকা পুরো পরিবারের প্রাপ্য খাদ্য় শস্য বাড়িতে পেতে পারেন। যদি কোনও কারনে সেই রেশন গ্রহণ করতে না পারেন, পরে সরাসরি রেশন দোকানে গিয়ে নিয়ে আসার সুযোগ থাকবে। দুয়ারে রেশন প্রকল্পে উপভোক্তা পরিবারগুলিকে ১৬ টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হবে। প্রতি ক্লাস্টারে বিতরণের জন্য প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট দিন থাকবে। মাসের প্রতম থেকে চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত মঙ্গলবার, বুধবার, শুক্রবার দুয়ারে রেশন পৌছবে। শনিবার সরাসরি রেশন দোকান থেকে রেশন দেওয়া হবে। ছুটি , আবহাওয়া বা অন্য কোনও কারণে যদি দুয়ারে রেশন বন্ধ থাকে সেক্ষেত্রে প্রাপকরা রবিবারের দ্বিতীয়ার্ধে তা পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন, সৌরভের বায়োপিকে কি অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর, মুখ খুললেন মহারাজ
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা