সংক্ষিপ্ত

  • উৎসবের মুরসুমে পর্যটকদের ভিড় নেই মুর্শিদাবাদে
  • লালবাগ সহ অন্য়ান্য পর্যটন কেন্দ্র পর্যটন শূন্য 
  • করোনার থাবায় আগেই ধাক্কা খেয়ে পর্যটনশীল্প
  • ভাইফোঁটায় মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের

পর্যটনশিল্পে আগেই থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। দুর্গাপুজোর সময় থেকে উৎসবের মুরসুমে কার্যত শুনশান পর্যটন কেন্দ্রগুলি। রাজ্য সরকার পর্যটন কেন্দ্রগুলি খোলার অনুমতি দিলেও ভিড় নেই পর্যটকদের। একই অবস্থা মুর্শিদাবাদেও। নবাব নগরীতে উৎসবের মুরসুমে কার্যত শুনশান।

আরও পড়ুন-আজ ভাইফোঁটা, সকাল থেকেই জেলার মিষ্টির দোকানগুলিতে ভিড় ক্রেতাদের

দুর্গাপুজা, কালীপুজো, ভাইফোঁটা এই উৎসবের মুরসুমে কার্যত শুনশান মুর্শিদাবাদ। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের ভিড় দেখা নেই। সমস্যায় পড়েছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। লালগোলা স্টেশনে নামলেই চারিদিকে ঝাঁ চকচকে হোটেল। লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও পর্যটকদের আনাগোনা নেই। একজন পর্যটন ব্যবসায়ী জানান,  বিগত ১৫ থেকে কুড়ি বছর ধরে মুর্শিদাবাদের এরকম অবস্থা কখনও তিনি দেখেননি। লালবাগ সহ জেলার অন্য়ান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে একই অবস্থা।

আরও পড়ুন-পাক সেনার গুলিতে নিহত সুবোধের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছল তেহট্টে, গান স্যালুট দিয়ে জওয়ানকে শেষশ্রদ্ধা

বড়সড় পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমস্য়ায় পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তার জেরে আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। একসময়ের বাংলা, বিহার, ওড়িশ্য়ার রাজধানী মুর্শিদাবাদের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। হাজারদুয়ারি প্য়ালেস থেকে ইমামবাড়া, কাটরা মসজিদ, কাঠগোলা বাগান, নসিপুর রাজবাড়ি, মোতিঝিল মসজিদ। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে প্রতি বছর উৎসবের মুরশুমে ভিড় থাকে। এবছর, করোনা আবহে সবই গিয়েছে। যদিও, শীতের সময় পর্যটকদের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।