সংক্ষিপ্ত

নবান্ন থেকে একটি বিশেষ টিম রাজ্য পুরো ও নগর উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করেন। এভাবেই পার্ক তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে জোর কদমে।

দাবি ছিল প্রায় ৩৮ বছরের। আর সেই দাবি মেনেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ঐতিহাসিক যমজ শহর আজিমগঞ্জ জিয়াগঞ্জ পৌরসভা (Jiaganj Azimganj Municipality) এলাকায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করে অত্যাধুনিক 'ইকোলজিক্যাল' পার্ক (Ecological Park) তৈরির দাবিতে সবুজ সঙ্কেত দিল নবান্ন (Nabanna)। শহরের নিমতলা ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভাগীরথীর পাড়ে (Bhagirathi River) ৬ বিঘা জায়গাজুড়ে এই পার্ক (Park) গড়ে তোলা হবে। 

সেইমতো নবান্ন থেকে একটি বিশেষ টিম রাজ্য পুরো ও নগর উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করেন। এভাবেই পার্ক তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে জোর কদমে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্কটি সাজিয়ে তোলার জন্য ডিপিআর তৈরি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। আর এই পার্ক তৈরি হবে সেকথা জানতে পেরে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। 

আরও পড়ুন- 'শ্রাবন্তীকে দেখে কৈলাশের মুখ দিয়ে প্রায় লালা ঝরছিল', বিস্ফোরক তথাগত রায়

আরও পড়ুন- 'বাংলার জন্য কোনও পদক্ষেপ নেই', বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ শ্রাবন্তীর

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভাগীরথীর পূর্ব পাড়ে জিয়াগঞ্জ শহরের সদরঘাটে একটি বিনোদন পার্ক থাকলেও পশ্চিম পাড়ে আজিমগঞ্জ শহরে কোনও পার্ক ছিল না। ৩৮ বছর ধরে এই এলাকায় একটি বিনোদন পার্কের দাবি জানানো হচ্ছিল। অবশেষে তাতে সবুজ সঙ্কেত মিলল। জিয়াগঞ্জ থানার ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে রয়েছে যমজ শহর আজিমগঞ্জ। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার কয়েক শতাব্দী প্রাচীন এই শহর। পুরসভার তথ্য অনুযায়ী আজিমগঞ্জ শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৩০হাজার। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার উদ্যোগে ভাগীরথীর দুই পাড়ের জিয়াগঞ্জ ও আজিমগঞ্জ শহরকে ম্যাস্টিক রাস্তা, এলইডি লাইট দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এদিকে জিয়াগঞ্জ শহরের সদরঘাটে একটি পার্ক রয়েছে। সকাল ও সন্ধেয় সেখানে ভিড় জমান বিভিন্ন বয়সের মানুষ। সবুজ পরিবেশে সেখানে অবসর কাটান তাঁরা। 

আরও পড়ুন- জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে পালিত হবে বিরসা মুন্ডার জন্মদিন, জানাল কেন্দ্র

কিন্তু, আজিমগঞ্জবাসীর অবসর বিনোদনের জন্য কোনও পার্ক নেই। এ প্রসঙ্গে আজিমগঞ্জের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল বলেন, "সবুজে ঘেরা একটি পার্ক যেমন শহরের শ্রীবৃদ্ধি করে ঠিক তেমনই সব বয়সি মানুষ সেখানে সকাল ও সন্ধেয় অবসর কাটাতে পারেন। পার্কে ছোটরা যেমন খেলতে পারবে তেমনই বয়স্করাও সবুজ পরিবেশে বসে একে অপরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা ও গল্পগুজব করে সময় কাটাতে পারবেন।" আজিমগঞ্জ শহরের এক ব্যবসায়ী তপন সাহা বলেন, "শহরের ভিতর একটি আধুনিক পার্কের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানানো হচ্ছিল। পুরসভার উদ্যোগে নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পার্ক তৈরির কাজ শেষ হলে আজিমগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হবে।"

এই পার্ক প্রসঙ্গে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, আজিমগঞ্জে কোনও পার্ক ছিল না। বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে একটি সবুজে ঘেরা পার্কের আবেদন করে আসছিলেন। কিন্তু, পূর্বতন পুরসভা আজিমগঞ্জবাসীর এই আবেদনে গুরুত্ব দেয়নি। তৃণমূল পুরসভার ক্ষমতায় আসার পর শহরবাসীর দাবিকে মান্যতা দেয়। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এব্যাপারে আবেদন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর পার্ক তৈরির জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে।"

YouTube video player