সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার বেলা পেরোতেই রোদের তেজে কাহিল কলকাতা।  এহেন পরিস্থিতিতে ফের নিম্নচাপের জেরে প্রবল বর্ষণের সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

শুক্রবার বেলা পেরোতেই রোদের তেজে কাহিল কলকাতা। মূলত আকাশ মেঘলা , তার উপর একশো ছুঁইছুঁই আদ্রতা। সেই কারণেই অস্বস্তি চরমে পৌছেছে। এদিকে বৃষ্টির জল এখনও জমে বহু এলাকায়। জমা জলে আশঙ্কা বাড়ছে অজানা জ্বর এবং ডেঙ্গু সহ নানা রোগের। তবে কলকাতা ছেড়ে দক্ষিণবঙ্গে বেরোলেই ভয়াবহ অবস্থা। বৃষ্টি জলের তোড়ে নদী জলে বেড়ে ভাসিয়ে দিয়েছে একাধিক গ্রাম। এহেন পরিস্থিতিতে ফের নিম্নচাপের জেরে প্রবল বর্ষণের সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর  (Alipore Weather Report)।  

আরও পড়ুন, COVID 19: ফের কোভিডের বড় থাবা কলকাতায়, আচমকাই লাফিয়ে সংক্রমণ রাজ্য়ে
 আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মায়ানমার উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেটি  ২৪ তারিখ বিকেল অর্থাৎ শুক্রবার পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরী করবে  (Deep Depression on Bay of Bengal) । তারপর এই নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে উড়িষ্যা উপকূলের এগিয়ে দিকে যাবে। এর ফলে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্য়েই বৃষ্টির জলে নদীর জল বেড়ে বন্যায় ভেসেছে ইতিমধ্যেই দুই মেদিনীপুর।  তারই মধ্যে ফুঁসছে নিম্নচাপ। ২৬ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। ২৭ তারিখ দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে  ( Heavy to very Heavy Rain fall) । নিম্নচাপ সমুদ্রে থাকবার জন্য মৎসজীবিদের ২৫ তারিখ থেকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।  তবে উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে স্থানীয়ভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আরও পড়ুন, মৃত BJP প্রার্থীর দেহ নিয়ে বিক্ষোভের জের, সুকান্ত-প্রিয়াঙ্কা-অর্জুনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

"


অপরদিকে, আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডেও। এছাড়াও উত্তরপশ্চিম ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টি বাড়বে। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি বেশি হবে রাজস্থান এবং গুজরাটেও। বৃষ্টি হবে তামিলনাডু মহারাষ্ট্র কঙ্কন ও গোয়া এলাকাতেও।  দুর্যোগের মাঝে ইতিমধ্য়েই জেলার প্রতিমুহূর্তের পরিস্থিতি জানতে (Nabanna) নবান্নে কন্ট্রোল খোলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রত্যেক জেলা শাসককে বিপর্যয় মোকাবিলার খরচ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৪৭ টি ব্লক এবং ৮ টি পুরসভা জলের নীচে। প্রায় ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩২৮ জন মানুষ জলবন্দি রয়েছেন।ইতিমধ্যেই  জলে ডুবে, দেওয়াল খসে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক জন প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ১ লক্ষ বাড়ি এবং ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি-শস্য, গবাদি পশু। তাই যে কোনও সমস্যায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে টোল ফ্রি নাম্বার ১০৭০ তে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন, Mainul Haque: অভিষেকের 'হাত' ধরেই তৃণমূলে যোগ দিলেন মইনুল হক

শুক্রবার তাপমাত্রা (Temparature) স্বাভাবিকের থেকে নীচে থাকলেও আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ২৫.৮ ডিগ্রী।  অপরদিকে,শুক্রবার শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের (Humidity) সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ।   সর্বনিম্ন  ৮১ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে আগামী দুদিন বাড়বে তাপমাত্রা সঙ্গে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি। 

      আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

YouTube video player