সংক্ষিপ্ত
'হাওড়ায় যাবেন না', রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিশ পাঠাল কাঁথি থানা। এমনকি রবিবার সকাল থেকেই তার বাড়ির সামনেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।গতকাল ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনে এই হাওড়ার পথেই গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারপরেও কি আর ঝুঁকি নেবেন শিশির পুত্র।
'হাওড়ায় যাবেন না', রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিশ পাঠাল কাঁথি থানা। এমনকি রবিবার সকাল থেকেই তার বাড়ির সামনেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু হাওড়ার একাধিক এলাকায় ক্রমশ পরিস্থিতি স্পর্শকাতর হয়ে উঠছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাও নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘাম ছুটতে পুলিশের। উলুবেড়িয়ার পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।মূলত এদিনই কলকাতায় যাওয়ার পথে গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি বিধায়কের। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারির জন্য, শুভেন্দুর যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ গতকাল ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনে এই হাওড়ার পথেই গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারপরেও কি আর ঝুঁকি নেবেন শিশির পুত্র।
এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কাঁথি থানার তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে শুভেন্দুকে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় যেতে বারণ করা হয়েছে। কারণ সেখানে ইতিমধ্য়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মূলত উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যের জের এবার উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে বাংলায়। ইসলাম বিদ্বেষী এমন ঘটনার প্রতিবাদে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়, জাতীয় সড়কের একাংশ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। তাই আপাতত বিজেপি বিধায়ককে ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী শেষ অবধি কী করবেন, তা অজানা। তবে বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, এদিন দুপুর নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার বাড়ি যাবেন শুভেন্দু। সেখানকার পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রওনা দেবেন কলকাতার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন, 'মমতার মন্তব্য উস্কানিমূলক, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে', হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক সুকান্ত
কলকাতায় আসার পথে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা হয়ে আসার কথা ছিল তাঁর। উলুবেড়িয়া যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পুলিশি পরামর্শের পর কী করেন এবার সেটাই দেখার। এদিকে গতকাল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় টুইট করে বলেছেন, 'আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে। এবং তাঁরা দাঙ্গা করাতে চায়। কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না। এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ ? ' বলে প্রশ্ন ছুড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার পাল্টা তোপ দাগেন শুভেন্দুও। শুভেন্দু বলেন, ছেড়ে দিন, কঠোর ব্যবস্থা নেবেন আপনি কেন মিছে ধমক দিচ্ছেন। সবে কিছু দোকানপাট লুটেঠে, পার্টি অফিস, গাড়ি পুড়িয়েছে, বোম ছুড়েছে, থানায় পাথর মেরেছে, রেল স্টেশন ভাঙচুর করেছে।'