সংক্ষিপ্ত

সমগ্র কলকাতা শহরের দর্শনার্থীদের ভীড় একসাথে গিয়ে পড়ছিল শ্রীভূমির বুর্জ খলিফার আদলে দুর্গা মন্ডপে।কিন্তু জলপাইগুড়ি নবারুন সংঘের এই মন্ডপ কম উঁচু হচ্ছেনা। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানান, ১০৪ ফুট উচ্চতা করা হয়েছে।

জলপাইগুড়ির কালী পুজোর (Kali Puja) এই মণ্ডপ অবশ্যই আপনাকে ফিরিয়ে দেবে শ্রীভূমির দূর্গাপুজোর কথা। দূর্গা পুজোয় শ্রীভূমির বুর্জ খলিফার (Burj Khalifa) আদলে তৈরি মণ্ডপ আর আলোর কাজ ছিল কলকাতার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু  পুজো শেষ হওয়ার আগেই নানাবিধ কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পুজো। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্রতিমা দর্শন। দমদম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামার সময় পাইলটদের সমস্যার পাশাপাশি করোনাকালে প্রবল ভিড়ও একটি কারণ ছিল। কিন্তু জলপাইগুড়িতে এবার শ্যামা পুজায় সেই বুর্জ খলিফার আদলেই কালী পুজার মন্ডপ তৈরি হয়েছে  বন্ধ বিমানঘাঁটি পাঙ্গা বিমানবন্দরের কাছেই। আরব দেশের বিলাসবহুল বুর্জ খলিফার আদলে এবার জলপাইগুড়ি শহরের নবারুন সংঘ ক্লাব ও পাঠাগারের কালী পুজায় উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি শহরের মানুষের মধ্যে নবারুণ সংঘের এই বুর্জ খলিফার আদলে  পুজা মন্ডপ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।কালীপুজার আগের দিন থেকেই মন্ডপে ভীড় উপচে পড়ছে।

সমগ্র কলকাতা শহরের দর্শনার্থীদের ভীড় একসাথে গিয়ে পড়ছিল শ্রীভূমির বুর্জ খলিফার আদলে দুর্গা মন্ডপে।কিন্তু জলপাইগুড়ি নবারুন সংঘের এই মন্ডপ কম উঁচু হচ্ছেনা। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানান, ১০৪ ফুট উচ্চতা করা হয়েছে।

Diwali In US: দীপাবলিতে আলোর খেলা মার্কিন মুলুকে, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাইডেন ও কমলা হ্যারিস

Diwali 2021: দীপবলির প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, বিশেষ বার্তা শিখদের

Diwali 202: দীপাবলিতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা সিয়াচেন-লাদাখে মোতায়েন সেনাদের, ভারত-পাক সীমান্তে মৈত্রীর ছব

তবে কলকাতার শ্রীভূমির মণ্ডপের সাথে কিছুটা পার্থক্য থাকছে।কলকাতায় বুর্জ খলিফার মন্ডপের  ভেতর লেজার লাইট বা সার্ফি ব্যবহার করা হয়েছিল ৭৪ টি, তুলনায় জলপাইগুড়ির নবারুন সংঘের মন্ডপে ৫৬ টি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেইসাথে বাইরে থেকে মণ্ডপের উপর ফেলা আলোকসজ্জার লাইটের রংয়ের ঘন ঘন পরিবর্তনে ১২০ টি পালকো ব্যবহার করা হচ্ছে।

নবারুন সংঘ ক্লাব ও পাঠাগারের এবারের পুজা ৫৬ বছরে পদার্পন করলো।ক্লাব সম্পাদক রাজেশ মন্ডল জানান,  মন্ডপের বাঁশের কাঠামো স্থানীয় ডেকোরেটর তৈরি করছেন। কিন্তু কোলকাতায় যে আলোকশিল্পী লাইটের কাজ করেছিলেন, তাদেরই টেকনিশিয়ানরা এখানেও কাজ কাজ করেছেন।বুর্জ খলিফার বাইরের আলোকসজ্জাই দর্শকদের আকর্ষণের মুল বিষয়। কিন্তু সেই লাইটিং মেশিন কলকাতা থেকে ভাড়া  আনলে অনেক খরচ।তাই শিলিগুড়ি থেকেই ভাড়া করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের কাছে হলেও নবারুন সংঘ ক্লাব ও পাঠাগারের শ্যামা পুজার বুর্জ খলিফার মন্ডপ তৈরি হয়েছে গোমস্ত পাড়া মেলার মাঠে।

কিন্তু এতো ভীড় সামলানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যেমন গোমস্ত পাড়ার একদিক দিয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে।তবু ভীড়, সেলফি তোলার হিড়িক চলছে।তারজন্য ৬৪ ফুট চওড়া প্রবেশপথ করা হচ্ছে।কিন্তু এই মন্ডপ দেখতে হচ্ছে দুরের ১০০  ফুট পরিমাপের গ্যালারি থেকে।তা না হলে বুর্জ খলিফার আলোকজ্জা দেখে কেউ মজা পাবে।