সংক্ষিপ্ত

  • এক বছরও টিকল না সেতু
  • বসে গেল দাসপুরের কন্য়াশ্রী সেতু
  • ভোগান্তির শিকার স্থানীয় বাসিন্দারা
  • কাটমানির ফল বলছেন বিরোধীরা

এক বছরও টিকল না। উদ্বোধনের এক বছরেই বসে গেল দাসপুরের কন্য়াশ্রী সেতু। স্বাভাবিকভাবেই  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দাসপুর পলাশপাই খালের দুই পারের বাসিন্দাদের। 

গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের চকসুলতান গ্রামের, পলাশপাই খালের উপর এই কাঠের সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সাধের কন্যাশ্রী প্রকল্পের নামেই সেতুর নাম দেওয়া হয় কন্য়াশ্রী সেতু। সেতু তৈরিতে ব্যয় হয়েছিল ২১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা।  আর সেই সেতুই কি না এক বছরের মধ্যে ভেঙে পড়ল । সেতু বসে যাওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ২০ থেকে ৩০টি গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্য়বস্থা। গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন,সেতুর মাঝ বরাবর হুড়মুড়িয়ে বসে যাওয়ার কারণেই যাবতীয় বিপত্তি ঘটেছে। 

আরও পড়ুন :ফোনে আলাপ, প্রেমিকার বাড়িতে প্রথমবার গিয়েই মরণাপন্ন যুবক

আরও পড়ুন : 'ঘরের ছেলেকে বলো', তৃণমূলের পাল্টা জনসংযোগ শুরু শুভ্রাংশুর

 এলাকাবাসীদের অভিযোগ, পলাশপাই খাল সংস্কারের ফলে প্রচুর মাটি তুলে নেওয়া হয়েছে।  নিয়ম না মেনে,এই মাটি তুলে নেওয়াতেই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে শুধু সেতু নয়, খাল থেকে মাটি তুলে নেওয়ায় সমস্য়ার সম্মুখীন হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বহু লোকের বাড়ি ধসের মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে সিপিএমের দাসপুর সোনাখালি এরিয়া কমিটির সদস্য  তথা স্থানীয় গোছাতি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান, শংকর ঘোষ বলেন, এক বছর হল না, গোছাতি গ্রাম পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি একাংশ ভেঙে গিয়েছে। তাই আমরা মনে করি প্রচুর টাকা কাটমানি খাওয়ার ফলে সঠিকভাবে কাজ না হওয়ার জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে এর তদন্তের দরকার। সঠিক তদন্তের দাবিতে আমরা সেচদপ্তরের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেব। এ বিষয়ে দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাউ বলেন, সেতুটি মেরামত নিয়ে সেচ দপ্তরের সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত সেতুটি মেরামত করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন :'জয় শ্রীরাম' নিয়ে প্য়ারোডি, 'দিদিকে বলো,হরি বলো' বাবুলের

আরও পড়ুন :প্রেমিকের বাইকে অন্য যুবতী, বিয়ে করে তবে ছাড়লেন প্রেমিকা