বাংলার কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে বিরাট আপডেট! নবান্নে গেল নোটিশ
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারী, পেনশনাররা সপ্তম বেতন কমিশনের (7th Pay Commission) জন্য বহুকাল ধরে লড়াই করে আসছেন। এবার কি তাহলে অধিকারের লড়াই ফল দেবে? অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। কবে থেকে চালু হতে চলেছে সপ্তম বেতন কমিশন! জেনে নিন

সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে বিরাট আপডেট বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারী ও পেনশনাররা সপ্তম বেতন কমিশনের (7th Pay Commission) জন্য বহুকাল ধরে লড়াই করে আসছেন।
এবার কি তাহলে অধিকারের লড়াই ফল দেবে? অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। কবে থেকে চালু হতে চলেছে সপ্তম বেতন কমিশন! জেনে নিন
বেসিক বেতন দ্বিগুণের সম্ভাবনা: কতটা বাস্তব?
ষষ্ঠ কমিশনে মৌলিক বেতন ছিল ৭১০০ টাকা থেকে শুরু, যা এখন স্ল্যাব অনুসারে ২৮,৯৪০ টাকা পর্যন্ত। সপ্তম কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ৩.০৪ থেকে ৩.৬৮ হলে বেতন প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বর্তমানে কারো ৩০,০০০ টাকা বেতন হলে এটা ৬০,০০০ টাকার কাছাকাছি চলে আসবে।
এই হার বাড়লে ডিএ (Dearness Allowance), বাড়িভাড়া ভাতা (HRA) এর মতো ভাতাগুলোও বাড়বে। সংগঠন বলছে, মূল্যসূচক সূচী (AICPI) অনুসারে এটা জরুরি। তবে সরকারের বাজেটের উপর নির্ভর করবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: কেন এখন সময় হয়েছে?
ভারতে বেতন কমিশন প্রতি ১০ বছরে আসে, যা কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ কমিশন ২০১৫ সালে চালু হয়েছিল, কিন্তু মহামারীর কারণে সপ্তমটি বিলম্বিত। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। রাজ্য সরকারও এখন চাপের মুখে পড়েছে। আগের কমিশনগুলোতে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ থেকে ৩.০৪-এ উঠেছে। এবারও অনুরূপ বাড়তি আশা করা হচ্ছে।
সপ্তম কমিশন চালু হলে বেতনবৃদ্ধির পরিমাণ
সপ্তম কমিশন চালু হলে প্রথমে মৌলিক বেতন বাড়বে, তার সঙ্গে ভাতা এবং পেনশনও। এতে কর্মচারীদের হাতে বেশি টাকা থাকবে, যা পরিবারের খরচ মেটাতে সাহায্য করবে। পেনশনাররা বিশেষভাবে লাভবান হবেন, কারণ তাদের মাসিক আয়ও বাড়বে।
সরকারের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া
নবান্নে নোটিশ পৌঁছানোর পর সরকার একটা কমিটি গঠন করতে পারে আলোচনার জন্য। তারা বাজেট বিবেচনা করে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ঠিক করবে। অতীতে এমন দাবিতে সরকার সাড়া দিয়েছে। এবারও রাজনৈতিক চাপে তারা এগোতে বাধ্য হতে পারে। কর্মচারী সংগঠন বলছে, না মানলে ধর্মঘট হবে। সরকারের উত্তর শীঘ্রই আসতে পারে।
সরকারি কর্মচারীদের প্রধান সংগঠনগুলো বিশেষ করে ইউনিটি ফোরাম নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে স্পষ্টভাবে দাবি তুলেছে। তারা বলেছে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ১০ বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু সপ্তম পে কমিশনের কোনো খবর নেই। এই নোটিশে তারা সরকারকে সতর্ক করেছে যে, দাবি না মানলে আন্দোলন তীব্র হবে।
সরকারি কর্মীদের দাবি
অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে ৫৮% ডিএ ১০% সুদ সমেত প্রদান করতে হবে।
কেন্দ্রের ৮ম কমিশনের সুপারিসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্যে ৭ম পে কমিশন লাঘু করতে হবে
৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।

