অপরাধমূলক একাধিক ঘটনায় গত কয়েক বছরে নাম উঠে এসেছে ই এম বাইপাস সংলগ্ন গুলশন কলোনির । সম্প্রতি কসবায় পুরপ্রতিনিধিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে গুলশন কলোনির সিন্ডিকেট-বিবাদের ঘটনার কথা।
কার্যত দুষ্কৃতীদের 'মুক্তাঞ্চল' হয়ে উঠেছে আনন্দপুরের গুলশন কলোনি । ভরসন্ধ্যায় যুবককে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে খুনের মতো ঘটনা, কখনও বোমা-গুলির লড়াই, এমনকি বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের গোপন আস্তানা হয়ে উঠেছে এই বিতর্কিত অঞ্চল। বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লালবাজারের কর্তারা , গুলশন কলোনির নিত্যনৈমিত্তিক ছবিটা যেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
গত কয়েক বছরে একাধিক অপরাধমূলক ঘটনায় গুলশন কলোনির নাম জড়িয়েছে। সম্প্রতি কসবায় পুরপ্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনা অনেক কিছুই প্রকাশ করেছে। গুলশন কলোনির সিন্ডিকেট-বিবাদের কথা একাধিকবার সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, আনন্দপুর থানার এক আধিকারিককে লালবাজারের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
বেআইনি নির্মাণ, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, রাজনৈতিক মদত - এইসব কিছু মিলে এই এলাকা যেন অপরাধের স্বর্গবাজ্য। ফলে, পুলিশের সক্রিয়তা বাড়লেও কি গুলশন কলোনিতে অপরাধ কমবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যাচ্ছে।
অপরাধমূলক একাধিক ঘটনায় গত কয়েক বছরে নাম উঠে এসেছে ই এম বাইপাস সংলগ্ন গুলশন কলোনির । সম্প্রতি কসবায় পুরপ্রতিনিধিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে গুলশন কলোনির সিন্ডিকেট-বিবাদের ঘটনার কথা।অপরাধের ঘটনায় বার বার গুলশন কলোনির নাম জড়ানোর বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন লালবাজারের কর্তারা। সূত্রের খবর, কেন অপরাধে লাগাম পরানো যাচ্ছে না ওই এলাকায় , প্রশ্ন তুলে আনন্দপুর থানার এক আধিকারিককেও ভর্ৎসনা করা হয় লালবাজার থেকে। এমনকি লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখাকেও কড়া প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছিল বলে খবর। গুলশন কলোনিতে অপরাধ কমাতে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন।
গুলশন কলোনির দূরত্ব আনন্দপুর থানা থেকে পাঁচ ছয় কিলোমিটার। কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গুলশন কলোনি প্রচুর মানুষ বসবাস করলেও দুই থেকে তিন হাজার ভোটারের সংখ্যা হতে পারে মেরেকেটে। ওই সমস্ত এলাকায় এসে যারা ভিড় করছেন তার অধিকাংশই অন্য রাজ্যের বাসিন্দা বলে খবর মিলেছে। বেআইনি নির্মাণ ঘিরে গজিয়ে ওঠা একাধিক সিন্ডিকেটের বিবাদই বিভিন্ন অপরাধের সূত্রপাত বলেই দাবি স্থানীয়দের। তবে এই এলাকায় অপরাধের লাগাম টানতে কড়া নজর রয়েছে পুলিশের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
