সংক্ষিপ্ত

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারে মডেল প্রশ্নপত্রের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের মানচিত্রে "আজাদ কাশ্মীর" চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।

বোর্ড পরীক্ষার জন্য প্রকাশিত মডেল প্রশ্নপত্রে অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশ্ন নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। কারণ এই প্রশ্নটি সাধারণ প্রশ্ন ছিল না। প্রশ্নে দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ কাশ্মীরকে আজাদ কাশ্মীর বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনীতি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডা চালানোর অভিযোগ করেছে। একই সঙ্গে বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও পৌঁছেছে। বিষয়টির দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।

কোথা থেকে শুরু বিতর্ক

মূলত, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারে মডেল প্রশ্নপত্রের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের মানচিত্রে "আজাদ কাশ্মীর" চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছিল এটি পর্ষদের দশম শ্রেণির প্রশ্নপত্র। শিক্ষার্থীদের জন্য জারি করা একটি বাংলা মিডিয়ামের অনুশীলন বইয়ের এই প্রশ্নপত্রে, পেপার সেটার তাদের মানচিত্রে আজাদ কাশ্মীর, পাকিস্তান, চট্টগ্রামের যুদ্ধক্ষেত্র এবং যেখানে গান্ধীজি মারা গিয়েছিলেন সেই স্থান সহ একাধিক স্থান চিহ্নিত করতে বলেছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাকিস্তানে বাসিন্দারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে 'আজাদ কাশ্মীর' বলে থাকেন। কিন্তু ভারতের ম্যাপ পয়েন্টিংয়ে তা 'আজাদ কাশ্মীর' হিসেবে আসে কী করে?

প্রকাশক ও প্রশ্নকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত - কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যস্তরের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের এই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। বাঁকুড়ার সাংসদ বলেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করছি। যদি এটি সত্য প্রমাণিত হয় তবে প্রকাশক এবং পেপার সেটারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এছাড়াও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং প্রশ্ন অপসারণ করতে হবে। সরকার আরও বলেছিলেন যে ঘটনাটি, সত্য হলে, টিএমসি সরকারের তুষ্টির রাজনীতির জন্য দায়ী করা যেতে পারে, যা কিছু লোককে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দেশবিরোধী প্রশ্ন প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড সভাপতি বলেন- ব্যবস্থা নেবেন

একই সময়ে, পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন যে 'এটা যখন নজরে এসেছে, তখন আমরা চেষ্টা করছি যে এটার যদি সংশোধন করা সম্ভব হয় তা হলে সেটা করে নেওয়া বা যদি ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব হয় তা হলে সেটা দেওয়া। বিষয়টি কী ঘটেছে, এটা জানব। এবং জানতে পারলে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব। দ্বিতীয়ত, যাঁরা প্রশ্ন তৈরি করেছেন ও যাঁরা সেই প্রশ্নের এডিটিং করেছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। তার পর বোর্ডের যে আইন রয়েছে, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।'