সাহানা শেষ বিয়ে নিয়ে গত অক্টোবরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। স্বামীর বিরুদ্ধে বধু নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন।
মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের এক তরুণী। কিন্তু তারপরই তিনি আজব রঙ্গ দেখিয়েছেন। প্রতারণা আর বিয়ে, বিয়ে আর প্রতারণা- পরপর এই কাণ্ড ঘটিয়ে গেছেন। শেষপর্যন্ত পর্দাফাঁস হল বাংলাদেশি তরুণীর। যেতে হল পুলিশের হাজতে। ধৃতের নাম সাহানা সাদিক। বয়স ৩২। বিধানলগর কমিশনারেট জানিয়েছে, পরপর চারজন ভারতীয় পুরুষকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছেন সাহানা। যদিও একটি বিয়েই কিন্তু আইনি নয়। রেজিস্ট্রেশনই করেননি সাহানা।
সাহানা শেষ বিয়ে নিয়ে গত অক্টোবরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। স্বামীর বিরুদ্ধে বধু নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন চার নম্বর স্বামী আপত্তিকর অবস্থায় তাঁর ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার হুমকি দেয়। স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরেরও অভিযোগও করেন মহিলা। পুলিশ অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। সেই সময়ই পুলিশ জানতে পারে, এটাই প্রথম নয়, সাহানা এর আগে আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধেও বধূ নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। তাতেই সামনে আসে আসল ঘটনা। সাহানাকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাতেই আসল ঘটনা সামনে আসে।
- Delhi stampede: কেন নতুন দিল্লি স্টেশন পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা? মৃত্যুর কারণ শ্বাসরোধ আর বুকে-পেটে আঘাত
- একজন পা পিছলে পড়ে যেতেই নয়া দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা? সত্যি জানতে তদন্ত রেলের
তবে এটাই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগে ওড়িশাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তিনি ভিন রাজ্যের একাধিক মহিলার আপত্তিকর অবস্থায় ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বিরিঞ্চি নারায়ণ নাথ নামে এই ব্যক্তি নিজেকে কখনও কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক আবার কখনয়ও রেলের অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। মহিলাদের কাছে হাজার হাজার টাকা তুলেছিলেন তিনি। বিরিঞ্চির টার্গেট ছিল স্বচ্ছল পরিবারের অবিবাহিত বা বিধবা মহিলা। পাশাপাশি পেশাগতভাবে সফল মহিলাদেরও তিনি টার্গেট করেছিলেন। বর্তমানে রয়েছেন শ্রীঘরে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
