সংক্ষিপ্ত

সেই মুহূর্তে বিধানসভার ভিতরে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর ঠিক তখন বাইরে ধর্না অবস্থানে বসে নিজের অপরাধের ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

Suvendu Adhikari: সেই মুহূর্তে বিধানসভার ভিতরে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর ঠিক তখন বাইরে ধর্না অবস্থানে বসে নিজের অপরাধের ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

তবে তার আগে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদও দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। সবমিলিয়ে, এক উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হল বিধানসভার ভিতরে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমার একমাত্র অপরাধ নন্দীগ্রামে তাঁকে হারানো এবং হিন্দুদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে কথা বলা।”

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আগে তাঁর উচিত গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চাওয়া! কিন্তু কেন এমন মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী? বিজেপি নেতার কথায়, “এই মুখ্যমন্ত্রী আগেই গোটা পৃথিবীর হিন্দুদের অপমান করেছেন মহাকুম্ভকে 'মৃত্যুকুম্ভ' বলে। তাই আগে গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চান তিনি। তারপর শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলবেন।”

এদিকে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনেও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন এবং অপমান করেন। কিন্তু একসময়ে যখন তিনি মেদিনীপুরে দ্বিতীয় হতেন, তখন অধিকারী পরিবারই তাঁকে ভোটে প্রথম করিয়েছে।

বিজেপি বিধায়ক রীতিমতো কটাক্ষর সুরে বলেছেন, “আপনি দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন যদি নন্দীগ্রামের জনগণকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম আন্দোলন না করত। ৪ বছর আগের হারের জ্বালা এখনও ভুলতে পারেননি মমতা, তাই বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে চলেছেন।” এমনকি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু।

আর এবার নন্দীগ্রাম নয়, ভবানীপুর থেকেই তাঁকে হারাবেন বলে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, এমনিতে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না, প্রশ্নোত্তর পর্বে থাকেন না এবং বিধানসভাকে গুরুত্ব দেন না। আর বুধবার, ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে চলে এসেছেন।

কারণ, “৩৩ শতাংশ ভোট সুরক্ষিত করতে হবে। তাই লুকিয়ে লুকিয়ে এসেছেন বিধানসভায়।” রীতিমতো এই ভাষাতেই কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ চারজন বিজেপি বিধায়ককে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়। ঠিক সেই সময়ই বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু জানান, এরপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী যখনই বিধানসভায় আসবেন তখনই তাঁকে ধিক্কার জানিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখাবেন। উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। তাই বিজেপির পূর্ব ঘোষিত সেই কর্মসূচিই হয়েছে বুধবার।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।