সংক্ষিপ্ত

সোমবার সরাসরি আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও অগ্নিমিত্রা পাল। ডিএ আন্দোলনকারীদের এর আগেও নৈতিক সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপি।

বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীরা। এর আগেও ২ দিনের কর্মবিরোতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। নবান্ন থেকে বার বার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা সত্ত্বেও আন্দোলন থামাতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। সোমবার সরকারি কর্মীদের আন্দোলনকে নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা করলেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার শহীদ মিনারের নীচে আন্দোলন মঞ্চে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করতেও গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১০ মার্চ সরকারি কর্মীদের ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বললেন,'জোরদার ধর্মঘট করতে হবে। ডিএ ইস্যুতে আইনি লড়াইয়ের জয় হবেই সরকারি কর্মচারীদের।' সোমবার সরাসরি আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও অগ্নিমিত্রা পাল। ডিএ আন্দোলনকারীদের এর আগেও নৈতিক সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপি।

সোমবার শহীদ মিনারের নীচে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। বিনা শর্তে সরকারি কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলেছিলেন,'রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ তৃণমূল সরকারের বিসর্জন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত থাকবে।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেছিলেন,'ডিএ-এর দাবিতে বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন করে কোনও লাভ নেই। স্বাস্থ্য দফতরের মতো জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে সমস্ত স্তরের রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের বলব সব জায়গায় তালা লাগিয়ে রাস্তায় নামুন। বদলির ভয় পেলে চলবে না। সরকারের বিরুদ্ধে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার বিস্তর ফারাক দিন দিন বেড়েই যাবে।'

প্রসঙ্গত, ৩ শতাংশ বাড়তি ডিএ নিয়ে যে কোনওভাবেই সন্তুষ্ট নন কর্মীরা তা আগেই বুঝিয়েছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে এবার লাগাতার কর্মবিরোতির ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মচারিদের। পাশাপাশি বিধানসভা অভিযানেরও ডাক দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। বর্ধিত ডিএ ঘোষণায় ক্ষোভ প্রশমের বদলে বরং আরও বেড়েছে অসন্তোষ। কেন্দ্রের যেখানে আরও চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করে এখন ডিএ দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশে যেখানে রাজ্য সরকারের তিন শতাংশ বাড়িয়ে মাত্র ৬ শতাংশ ডিএ-এর ঘোষণাকে 'ভিক্ষা দেওয়ার মত' মনে করছে কর্মীরা। রাজ্যের এই ঘোষণাকে প্রত্যাখানও করা হয়েছে।

৪৮ ঘন্টার কর্মবিরোতির ডাক দিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারিরা। পাশাপাশি শুক্রবার বিধানসভা অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাশাপাশি বাম সমর্থিত আরও ৩০টি সরকারি কর্মী এবং পেনশনারদের যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকেও ডাক দেওয়া হয়েছে বিধানসভা অভিযানের। ইতিমধ্যেই লাগাতার আন্দোলনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কিছু আন্দোলনকারী। বৃহস্পতিবার আন্দোলন চলাকালীন মাথা ঘুরে পড়ে যান সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনারদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানেও প্রথমে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল রাজ্যজুড়ে কালো ব্যাজ পড়ে ধিক্কার দিবস পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন - 

'রাজ্য পুলিশ না পারলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অনুব্রতকে তুলে নিয়ে যাওয়া উচিত', কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের জরুরি চিঠি, আবাস যোজনার দুর্নীতিতে ব্যবস্থা না নিলে বিপাকে পড়বে রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটি চোরও চলবে না-দিদির দূত প্রকল্পে বীরভূমে বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক