Calcutta High Court: এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের। সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকর করতে এত দেরি কেন? আদালত অবমাননা মামলায় এবার রাজ্য ও পর্ষদের থেকে সেই জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে, এদিন মামলার শুনানিতে।  

Calcutta High Court: এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের। সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকর করতে এত দেরি কেন? আদালত অবমাননা মামলায় এবার রাজ্য ও পর্ষদের থেকে সেই জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে, এদিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের উদ্দেশে আদালতের প্রশ্ন, কেন চিহ্নিত অযোগ্যদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? শুধু তাই নয়, আগামী বুধবার পরবর্তী শুনানিতে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি এবং সিবিআই-কে আদালতের কাছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সূত্রের খবর, আগামী বুধবার পরবর্তী শুনানিতে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি এবং সিবিআই-কে আদালতের কাছে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের।

জানা গিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫,৭৫২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই নির্দেশ ছাড়াও আরও একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তরফে। সেই সব নির্দেশ কেন এতদিনে কার্যকর করা হয়নি? এবার সেই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট।

শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসি-কে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর জানাতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও জবাব দেওয়ার জন্য এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী আদালতের কাছে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, একদিনের মধ্যেই আদালতে জবাব দিতে হবে। আগামী বুধবার আবারও এই মামলার শুনানি। ওইদিন আদালতে জবাব দিতে হবে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। 

হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চেই প্রথমে ২৬ হাজারের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য, পর্ষদ এবং কমিশন। তারপরও শেষরক্ষা হয়নি।

২০১৬ এসএসসি দুর্নীতি মামলা গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের0 গোটা প্যানেল বাতিল করার রায় দেয়। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মত চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। 

অভিযোগ, বেতন তালিকায় এখনও সেই অযোগ্যদের নাম রয়েছে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট ওএমআর শিট প্রকাশেরও নির্দেশ দিয়েছিল। এই সমস্ত নির্দেশ এখনও পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা হয়। সোমবার সেই মামলারই শুনানি ছিল বিচারপতি বসাক এবং বিচারপতি রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে। এবার সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আগামী বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।