- Home
- West Bengal
- Kolkata
- বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের হুমকি হুমায়ুন কবীরের, হস্তক্ষেপে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের হুমকি হুমায়ুন কবীরের, হস্তক্ষেপে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট
Cal HC On Humayun Kabir: ভরতপুরের বহিস্কৃত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বেলডাঙায় মসজিদ তৈরি করার প্রস্তাব নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করল না আদালত। কী বলছে কোর্ট? বিস্তারিত জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

কলকাতা হাইকোর্টে হুমায়ুনের মসজিদ ইস্যু
ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্ত ও শনিবারের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে কোনও হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকে। মুর্শিদাবাদে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে, তাদেরকেও ব্যবহার করা যাবে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখেই কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে হুমায়ুনকে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চের।
কী বলেছিলেন হুমায়ুন কবীর ?
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। আগামী ৬ ডিসেম্বর তথা আগামীকাল, শনিবার বেলডাঙায় মসজিদের শিলান্যাস করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। সেই নিয়ে তাঁর একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে সাসপেন্ড করে তাঁর দল। তারপরই তাঁর মসজিদ তৈরির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এই মসজিদ তৈরি নিয়ে ধর্মীয় অশান্তির আঁচ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ডঃ আব্দুস সালাম শেখ নামে এক সমাজকর্মী।
রাজ্যে নিরাপত্তা বৃদ্ধি
তাঁর দাবি মসজিদ তৈরিকে ঘিরে ধর্মীয় দাঙ্গা-অশান্তি হতে পারে। হিন্দু-মুশরিমকে ভাগ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাই এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। তাই এই মসজিদ তৈরির শিলান্যাসের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাবরি মসজিদের শিলান্যাস বন্ধ করার আবেদন জানানর পাশাপাশি বেলডাঙায় নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়।
কী বলছে আদালত?
শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারী ডঃ আব্দুস সালাম শেখের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য শুনানিতে দাবি করেন, 'রামমন্দির নিয়েও সম্প্রীতি নষ্টের প্রশ্ন উঠেছিল।এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য এলাকায় অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। রাজ্যকে এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।' এই মসজিদ তৈরি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানও জানতে চান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, মুর্শিদাবাদের ওই এলাকাগুলো খুবই সংবেদনশীল। সম্প্রতি সেখানে দাঙ্গা-অশান্তি হয়েছে। তাই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা রয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকেও আদালতে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
হস্তক্ষেপে না আদালতের
এরপরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, মসজিদ তৈরি ও তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। যাবতীয় নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্যকে সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় সরকারও। শিলান্যাসের কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্য ও কেন্দ্রের। উভয়কেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। গত এপ্রিলে মুর্শিদাবাদ জুরে ওয়াকফ অশান্তি নিয়ন্ত্রণে যে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে, প্রয়োজনে এক্ষেত্রে সেই বাহিনীকেও ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্র তাতে সম্মতিও জানিয়েছে।

