সংক্ষিপ্ত
ন্যাশানাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড অনুযায়ী ৯ জানুয়ারি পর্যস্ত ভারতের যে কোনও আদালতে শুনানি হওয়া এটি হল সবথেকে পুরনো মামলা। স্বাধীনতার পর ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি বহরমপুর ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছিল
দেশের সবথেকে পুরনো মামলার ভাগ্যে এতদিন পরে শিঁকে ছিড়ল। অর্থাৎ মামলার এতদিন পরে সমাধানে পৌঁছেছে। এই সপ্তাহে ভারতের প্রাচীনতম হাইকোর্টের একটি প্যালেন ১৯৫১ সালে দায়ের হওয়া দেশের সবথেকে প্রাচীন মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের জন্মও এই মামলা দায়ের হওযার ১০ বছর পরে। দেশের প্রাচীনতম মামলাটি হল বহরমপুর ব্যাঙ্ক লিমিটেডের মামলা।
ন্যাশানাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড অনুযায়ী ৯ জানুয়ারি পর্যস্ত ভারতের যে কোনও আদালতে শুনানি হওয়া এটি হল সবথেকে পুরনো মামলা। স্বাধীনতার পর ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি বহরমপুর ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছিল। একই দিনে মামলা নম্বর 71/1951 নথিভুক্ত করা হয়েছিল। পুরনো নথি অনুযায়ী এই মামলাটি দায়ের হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১৯ নভেম্বর। পরে মামলাটি লিখিত আকারে ১৯৫১ সালে আসে। হারানো তহবিল পুনরুদ্ধার করার চেষ্টায় বহরমপুর ব্যাঙ্ক ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছিল। যারমধ্যে অনেকেই ব্যাঙ্কের দাবির বিরুদ্ধে আদালতে নথি জমা দিয়েছেন। ব্যাঙ্কের লিকুইডেশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে পিটিশনটি গত সেপ্টেম্বর দুটি শুনানির ব্যবস্থা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী কেউ হাজির হয়নি। ২০০৬ সালে এই মামলা এমনিতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রেকর্ড পর্যন্ত আপডেট করা হয়নি। অবশেষে সরকারিভাবে এই মামলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ ৭১ বছর পরে বন্ধ হয়ে গেল দেশের সবথেকে পুরনো মামলাটি।
তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দুটি পুরনো মামলা সমাধান করা বাকি রয়েছে। যার অধিকাংশই দায়ের করা হয়েছিল ১৯৫২ সালে। একটি মামলা রয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। দুটি মামলা বাংলা ও মালদহের দেওয়ানি দেওয়া আদালতে চলছে। যার মধ্যে একটি মামলার শুনানি হবে মালদার আদালতে। চলতি বছর মার্চ ও নভেম্বরে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বহরমপুর ব্যাঙ্ক মামলা
স্বাধীনতার পর ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি বহরমপুর ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছিল। একই দিনে মামলা নম্বর 71/1951 নথিভুক্ত করা হয়েছিল। পুরনো নথি অনুযায়ী এই মামলাটি দায়ের হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১৯ নভেম্বর। পরে মামলাটি লিখিত আকারে ১৯৫১ সালে আসে। এই মামলায় ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য একাধিক মামলায় জর্জরিত করা হয়েছিল। ঋণগ্রহিতাদের অনেকেই ব্যাঙ্কের দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে আদালতে গিয়েছিল।