সংক্ষিপ্ত
৩ জুন, শনিবার, মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে একসাথে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন দুজন মানুষ। এই ঘটনার ফলে শনিবারের সন্ধ্যা নাগাদ বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গেল শহরের মেট্রো পরিষেবা।
কলকাতা মেট্রোয় যথাযথ পুলিশি প্রহরার পরেও কিছুতেই এড়ানো যাচ্ছে না ঝাঁপ দিয়ে মানুষের আত্মহত্যা করার চেষ্টা। মানসিক অবসাদ দূরীকরণে বিভিন্ন হেল্পলাইন নম্বর চালু করার পাশাপাশি মেট্রো স্টেশনের সর্বত্র সিসি ক্যামেরার নজরদারি দিয়ে মুড়ে রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বারংবার মেট্রোর লাইনের দিকেই জীবনের সবচেয়ে খারাপ পদক্ষেপটি নিয়ে ফেলছেন বহু মানুষ এবং তার জেরে ব্যস্ত সময়ে পরিবহণের ক্ষেত্রে কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে দৈনন্দিন যাত্রীদের। শনিবার সন্ধেবেলাও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শহর কলকাতায়।
৩ জুন, শনিবার, মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে একসাথে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন দুজন মানুষ। এই ঘটনার ফলে শনিবারের সন্ধ্যা নাগাদ বেশ কিছুক্ষণ ধরে স্তব্ধ হয়ে গেল শহরের মেট্রো পরিষেবা। মেট্রো রেলের তরফে জানা গেছে যে, আজ সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩৪ মিনিট নাগাদ নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের ডাউন লাইনে একসাথে ঝাঁপ দেন এক তরুণ ও তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর- কবি সুভাষ মেট্রো রুটের পরিষেবা আংশিক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট পরে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। সন্ধ্যা ৭টা বেজে ১৪ মিনিট নাগাদ ওই লাইনে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
দুর্ঘটনার সময় মেট্রোর জনসংযোগ দফতর জানিয়েছিল যে, সাময়িকভাবে দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, দক্ষিণ কলকাতার কবি সুভাষ স্টেশন থেকে গিরিশ পার্ক স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিকই রাখা হয়েছিল। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই আশ্বাস দিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। একেবারে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে এই ঘটনা ঘটায় যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়ে যান নিত্যযাত্রীরা।
আরও পড়ুন-
দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের মানুষদের মাথায় হাত দিয়ে সমবেদনা প্রকাশ, আহতদের সঙ্গে কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
‘ধর্ষতা তরুণী ‘মাঙ্গলিক’ কিনা তার তদন্ত হোক’, এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট
চলন্ত ট্রেনের মধ্যে যুবকের যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে বৃহন্নলাদের জুলমবাজি, দিঘাগামী ট্রেনে চূড়ান্ত অসভ্যতা