সংক্ষিপ্ত
ঘটনার সূত্রপাত এপ্রিল মাস। এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দা ধর্মদেব মণ্ডল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জনিয়েছিলেন যে, তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসেছিলেন
রীতিমত অফিস খুলেই চলছি জাতিয়াতির চক্র। মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে - এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে। তবে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা গোটা ঘটনার মোহরা মাত্র। মূল চক্রীর সন্ধান পেতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
মূল ঘটনাঃ
ঘটনার সূত্রপাত এপ্রিল মাস। এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দা ধর্মদেব মণ্ডল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জনিয়েছিলেন যে, তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসেছিলেন। যে নিজেদের মোবাইল টাওয়ার ইনস্টলেশন কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ পরিচয় দেয়। সেই ব্যক্তি অভিযোগকারীকে প্রতিশ্রুতি দেয় তার জমিতে একটি MNC টাওয়ার ইনস্টল করা হবে। এই আছিলায় ধর্মদেবের কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই দফায় দফায় টাকা নিয়েছে। এইভাবে অভিযোগকারীর থেকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা নিয়েছে দফায় দফায়।
'মোদী আবার জিতলেই মমতা জেলে যাবে', যোগীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুললেন কেজরিওয়াল
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তাতেই গত ৯ মে রাজারহাটের বাসিন্দা নিরুপম মুখোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ জানতে পারে টাওয়ার বসানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল কলকাতাসহ বিস্তৃর্ণ এলাকায়। রীতিমত অফিস খুলেই চলত প্রতারণা। নিয়োগ করা হয়েছিল একাধিক কর্মী। ফেয়ারলি প্লেসে এলাকায় একটি ঝাঁ চকচকে ঘরও ভাড়া নিয়ে চালান হচ্ছিল অফিস। সেই অফিসেই হানা দিয়ে একসঙ্গে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর মামলা খারিজ
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ফেয়ারপ্লেসের অফিসে চলত একটি কল সেন্টার চলত। সেখান থেকেই মানুষদের প্রতারণার চক্রে ফেলার চেষ্টা করা হত। মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় কল সেন্টারের মাধ্যমে। কিন্তু যারা কল সেন্টারের কর্মী তারা এই বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানত না। কিন্তু তাদের টোপ দিয়েই এই প্রতারণা চক্রের মাথাদের পাকড়াও করতে চাইছে পুলিশ।