- Home
- West Bengal
- Kolkata
- বাংলার DA মামলার রায় বেরোবে কবে? সুপ্রিম কোর্টে বিরাট দাবি করলেন সরকারি কর্মীরা
বাংলার DA মামলার রায় বেরোবে কবে? সুপ্রিম কোর্টে বিরাট দাবি করলেন সরকারি কর্মীরা
বছর ঘুরলেই রাজ্যে হতে চলেছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট প্রচারের প্রস্তুতি। এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের নজরে এখন একটাই বিষয় বারবার ঘুরে ফিরে আসছে আর সেটি হল সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া DA-র রায় (DA Verdict Case) কবে বেরোবে।

আদালতে শীতকালীন ছুটির আগেই কি মিলবে বাংলার ডিএ মামলা নিয়ে সুখবর? রাজ্য সরকারি কর্মীদের নজরে এখন একটাই বিষয় বারবার ঘুরে ফিরে আসছে আর সেটি হল সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া DA-র রায় (DA Verdict Case) কবে বেরোবে।
DA নিয়ে ফের চর্চা
সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া DA মামলার রায় কবে বেরোবে তাই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। চলতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শেষ শুনানি সুসম্পন্ন হয়েছিল। তারপর প্রায় তিন মাস অতিক্রান্ত হয়েছে, অথচ রায়ের কোনো নাম নিশানা নেই।
স্বাভাবিকভাবেই তাই DA নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার জেরে সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মনে দানা বাঁধছে উদ্বেগ। এমতাবস্থায় ডিএ মামলার সঙ্গে প্রথম থেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের এক ভিডিও বার্তায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার রায় নিয়ে আরও একবার জোরালোভাবে দাবি জানিয়েছে।
DA মামলায় রায় শীঘ্রই প্রদানের দাবি আন্দোলনকারী কর্মীদের
সম্প্রতি কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে তিনি দাবি জানিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্ট যেন শীঘ্রই বকেয়া DA মামলার রায় প্রদান করে।
তাঁর আরও সংযোজন, “সুপ্রিম কোর্টের রায় স্থগিত থাকার কারণে অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী দিনের পর দিন আশাহত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি বা উইন্টার ভ্যাকেশন শুরু হয়ে যাচ্ছে। তার আগে আদালতের হাতে কার্যকরী সময় রয়েছে প্রায় ১৪ দিন। যদি রায় লিখিত আকারে প্রকাশ পায় তাহলে সকলেই স্বস্তি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, ডিএ মামলার সঙ্গে প্রথম থেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা বিশিষ্ট আইনজীবী প্রবীর বাবু জানিয়েছেন যে, “সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিতে চলেছে, তা ‘ঐতিহাসিক’ হতে পারে। যেহেতু বিষয়টি লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর রুজি-রুটির সঙ্গে যুক্ত এবং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী, তাই মাননীয় বিচারপতিরা তাড়াহুড়ো না করে প্রতিটি দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখছেন।”
এছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন যে, “সাধারণত দেখা যায়, দীর্ঘ শুনানির পর বড় কোনো মামলার রায় আদালতের দীর্ঘ ছুটির ঠিক আগেই ঘোষণা করা হয়। তাহলে সেদিক থেকে দেখলে আগামী ১৯ ডিসেম্বরের আগেই হয়ত দুই মাননীয় বিচারপতি ডিএ মামলার রায় প্রকাশ করতে পারেন।”

