- Home
- West Bengal
- Kolkata
- কেন হচ্ছে না বাংলার DA মামলার রায়দান? রয়েছে ২-৩টি কারণ! কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?
কেন হচ্ছে না বাংলার DA মামলার রায়দান? রয়েছে ২-৩টি কারণ! কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?
যত সময় যাচ্ছে, হতাশা বাড়ছে সরকারি কর্মীদের। বহু বছরের আইনি লড়াই শেষে ডিএ মামলার (Dearness Allowance) শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান হয়নি এখনও। কবে ডিএ মামলার রায়দান হবে? এই প্রশ্নই এখন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীদের মনে। কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?

সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ডিএ মামলা। আর এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ কর্মরত এবং সরকারি পেনশনভোগীদের অপেক্ষা যেন শেষ হওয়ারই নাম নিচ্ছে না। কেন হচ্ছে না বাংলার DA মামলার রায়দান? রয়েছে এই কয়েকটা কারণ! কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?
নভেম্বর নিয়ে সরকারি কর্মীদের মনে আশা থাকলেও সেই আশায় জল। যত সময় যাচ্ছে, হতাশা বাড়ছে সরকারি কর্মীদের। বহু বছরের আইনি লড়াই শেষে ডিএ মামলার (Dearness Allowance) শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান হয়নি এখনও। কবে ডিএ মামলার রায়দান হবে? এই প্রশ্নই এখন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীদের মনে।
ডিএ মামলার রায়দান কি এ বছর হবে?
ডিএ মামলার শুনানির শেষে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “২০২৫ সালের মধ্যেই রায়দান হলে সন্তুষ্ট থাকব”। প্রশ্ন উঠছে, DA মামলার রায়দান আদৌ হবে ২০২৫ সালে? যদিও সেই উত্তর কারও কাছে নেই।
এদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সত্যি বলতে কর্মচারী সমাজ, শিক্ষক সমাজ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সমাজ সবাই ডিএ-র বিষয়টা জানতে চাইছে এবং আমরা একটা অনুমান করেছিলাম যে এই নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে অন্তত ডিএ মামলার রায় সামনে আসবে। প্রথম সপ্তাহ, দ্বিতীয় সপ্তাহ, আশাটা দীর্ঘদিন ধরে করে আজকে নভেম্বর মাস শেষ হতে চলেছে। এখনও সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোনও উত্তর আমরা পাই নি।’
তবে একই সঙ্গে যদিও আশার কথা শুনিয়ে মলয়বাবু আরও বলেছিলেন, ‘তবে এইটুকু আমরা দেখেছি যে আমাদের ডিএ মামলাটা যারা করেছিল বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের স্পেশাল বেঞ্চে তাদের একসঙ্গে বসা অর্থাৎ, যখন স্পেশাল বেঞ্চ না হলে একসঙ্গে কিন্তু হয় না।’
তিনি আরও বলেন ‘সেটা দেখছি এখন সপ্তাহে একদিন, দুদিন করে হচ্ছে। ডিএ মামলাটা থাকলে পরে এখনও সাপ্লিমেন্টরি লিস্টে। সেটা থাকবে বলে আমাদের মনে হয়না। কর্মচারী সমাজকে তা বলব না। তবে যদিও থাকে তাহলে একদম শেষমুহূর্তে জানতে পারবেন।’
মলয়বাবু আরও বলেন, ‘আগে বেশ কিছুদিন আমরা দেখেছি যে স্পেশাল বেঞ্চ করে দুজনে বসে নি। এখন দেখছি স্পেশাল বেঞ্চ করে দুজনে বসছে। অন্য মামলাগুলি শুনছেন। তবে এখনও আমাদের মামলা শোনে নি। কর্মচারীসমাজকে আমরা এইটুকু বার্তা দিতে পারি যে রায়ের কোনও তথ্য এখনও আমরা সর্বোচ্চ আদালতের কাছ থেকে পাইনি।’
প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসে ডিএ মামলার রায়দান হতে পারে বলে আশাবাদী ছিলেন সরকারি কর্মীরা। তবে তা হয়নি। উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি সমাপ্ত হয়। তবে নভেম্বর শেষ হতে চললেও রায় এখনও সামনে আসে নি।
বর্তমানে “Heard and Reserved” রয়েছে। ডিএ মামলার শুনানি বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের স্পেশাল বেঞ্চে সমাপ্ত হয়েছে। এই বেঞ্চই ডিএ মামলার রায়দান করবে। তবে কবে সে মামলার রায়দান হবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও আপডেট নেই এ পর্যন্ত।

