সংক্ষিপ্ত
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে আজ বেলা ১২টা নাগাদ রাজভবনে যাবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।
রাজ্যপালের ডাকে সারা ডিএ আন্দোলনকারীদের। গতকালই ডিএ-এর দাবিতে অনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অনশনরত কর্মীদের শারীরিক অবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। এই মর্মে টুইটারে দু'টি পোস্টও করেছেন তিনি। রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে আজ রবিবার রাজভবনের পথে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। নিজেদের দাবি দাওয়া রাজ্যপালকে জানাবেন তাঁরা। সেই দাবি মেনে নেওয়া হলে অনশন প্রত্যাহার করতেও রাজি তাঁরা। প্রসঙ্গত এর আগেও আন্দোলনকারীদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি বলেছেন,'আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব।' এখানেই শেষ নয় ধর্মতলায় অনশনরত কর্মীদের জন্যও বিশেষ বার্তা দেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়,'সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে অনশন করছেন কিছু মানুষ। আমি খুবই ব্যথিত। এইভাবে ডিএ নিয়ে অনশন চললে, একের পর এক সরকারি কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়বেন। মানুষের পরিষেবা ব্যহত হবে। আশা রাখি সকলে মিলে দ্রুত এর সমাধান বেরোবে।'
এরপর শনিবার রাতে ফের টুইটবার্তায় একই আবেদন জানান তিনি। টুইটারে তিনি লেখেন,'কোনও একটি বিশেষ কারণে তাঁরা ক্রমাগত লড়াই করে যাচ্ছেন। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের অনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সমস্ত পক্ষকে একসঙ্গে বসে নির্দিষ্ট উপায় ঠিক করতে হবে।' আন্দোলনকারীদের শারীরিক অবস্থার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি অপর একটি টুইটে লেখেন,'অনশন চতুর্থ সপ্তাহে পা রেখেছে। এই ঘটনায় আমি ব্যথিত। সমস্যা হলেও সহজভাবেই তার সমাধান সম্ভব। এই মুহূর্তে সব থেকে দামি আমাদের ভাইদের জীবন।' সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে আজ বেলা ১২টা নাগাদ রাজভবনে যাবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান বলেও জানান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হলে অনশন প্রত্যাহারের কথা ভেবে দেখা হবে বলেও জানালেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ডিএ-এর পাশাপাশি যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ ও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগের দাবিও ছিল তাঁদের। এবার সেই সব দাবি নিয়ে 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এর পথে হাটতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু কী এই 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'?
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অফিস টাইমের পরও হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপ সহ এই ধরনের সোশাল মিডিয়া গ্রুপগুলিতে কাজের ফরমাইশ করা হয়। বিভিন্ন প্রকল্প ও নানা কাজের জন্য অফিসের বরাদ্দ সময়ের বাইরেও আমাদের কাজ করতে হয়। এবার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই ধরনের গ্রুপে আসা কাজ আমরা আর করব না। এই ধরনের দাবি দাওয়া আর মেটানো হবে না।
আরও পড়ুন -
সরকারি দফতরের কাজে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি, অনুপস্থিত ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন?