সংক্ষিপ্ত
নবান্নের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে ওই দিন ছুটি পাবেন না কোনও কর্মী।
ডিএ আন্দোলন রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। ডিএ দাবিতে ধর্মঘটে যোগ দেওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারের। গত ১০ মার্চ বকেয়া ডিএ এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। ধর্মঘট রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেয় নবান্নও। জারি করা হয়েছিল নির্দেশিকাও। নবান্নের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে ওই দিন ছুটি পাবেন না কোনও কর্মী। স্কুল কলেজ-সগ যাবতীয় সরকারি ও সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানও পূর্ণ দিবস খোলা থাকবে বলেও এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। এছাড়া একমাত্র কোনও কর্মচারী যদি আগে থেকে ছুটি নিয়ে থাকেন অথবা হসপাতালে ভর্তি থাকেন একমাত্র সে ক্ষেত্রে ছুটি মঞ্জুর হতে পারে। পাশাপাশি কর্ম জীবনের একদিন কাটা হতে পারে বলেও জানিয়েছিল নবান। এবার ধর্মঘটে যোগ দেওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের।
সূত্রের খবর, আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে ১০ মার্চ যে সমস্ত কর্মীরা অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের একদিনের বেতন কেটে নেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই মর্মে জ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকা অর্থদফতরে পাঠানোও হয়েছে। তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের একদিনের বেতন কাটা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, টানা ৪৪ দিন অনশন চালিয়ে যাওয়ার পর ২৫ মার্চ শনিবার ধর্মতলার অনশন কর্মসূচি স্থগিত করলেন তাঁরা। তবে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। অনশন তুলে নেওয়ার মূল কারণ হিসেবে কর্মীদের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথাই বলা হয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ অনশনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন একাধিক কর্মী। অনেকেরই কিডনির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকের আবার গ্যাসট্রিক জনিত সমস্যা হচ্ছে। তাই কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই ডিএ আন্দোলন স্থগিত রাখ হয়েছে বলে জানাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তবে বকেয়া ডিএ এবং ডিএ-এর দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন একই রকমভাবে চলবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আর্থিক বর্ষের শেষে এসে নতুন করে ডিএ দাবিতে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে যৌথমঞ্চ। আগামী ২৬ মার্চ থেকেই নতুন কর্মসূচি আন্দোলনকারীদের। আগামী ২৬ মার্চ বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে গণ ই-মেল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্মচারিরা। আগামী ৩০ মার্চ রাজ্য জুড়ে গণছুটি নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে তাঁরা। উল্লেখ্য গত ১০ মার্চও রাজ্য জুড়ে কর্মবিরোতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। এবার আবার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের একবার গণছুটির ডাক দিল আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হবে গণ ই-মেইলও।
আরও পড়ুন -
৪৪ দিন পর অবশেষে ডিএ-এর দাবিতে উঠল অনশন, আন্দোলনে অনড় থাকার ঘোষণা সরকারি কর্মীদের
ছুটির দিনে শিয়ালদহ মেন লাইনে একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, কোন কোন শাখায় বাতিল কী কী ট্রেন? জানুন