- Home
- West Bengal
- Kolkata
- আরজি করের ঘটনাস্থল থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছিল? ক্যামেরার সামনে কেঁদে ফেললেন তৃণমূল সাংসদ
আরজি করের ঘটনাস্থল থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছিল? ক্যামেরার সামনে কেঁদে ফেললেন তৃণমূল সাংসদ
- FB
- TW
- Linkdin
বিচার চেয়ে নাগরিক সমাজের ডাকে ফের রাস্তায় নামলেন তৃণমূল সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি প্রথম থেকেই তিলোত্তমা কাণ্ডে সরব হয়েছিলেন।
তাঁকে লালবাজার থেকে ডেকে পাঠানোও হয়। এবার তিনি সাংবাদিকদের সামনে কার্যত কেঁদে ফেললেন।
এবার সরাসরি তিনি তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, "তথ্য প্রমাণ লোপাটের কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থার একটু সময় লাগছে। ডাক্তাররা যাঁদের কাছে আমরা একটু অসুস্থ হলে যাই, তাঁরা রাস্তায় শুয়ে রয়েছে। লালবাজার অভিযান করছেন। কারণ তাঁদের সহকর্মী যাঁকে নির্মম অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে, তার বিচার চাইছেন।এই বিচার যেন বিলম্বিত না হয়। তারিখ পে তারিখ আর চলতে দেওয়া যায় না।"
তিনি বলেন, বিচারের জন্য আমাকে রাস্তায় নামতেই হতো। কেউ আমার সঙ্গে না নামলে, আমি একা নামতাম। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিচারের দাবি জানাতাম।"
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার মধ্য রাতেও তিনি পথে নেমেছিলেন বিচারের দাবি চেয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার বার বিচার চেয়ে পোস্ট করে তিনি তিলোত্তমার বিচারের জন্য সওয়াল হয়েছেন।
এদিকে, মেয়ের নৃশংস মৃত্যুর বিচার চেয়ে রাত জাগলেন নির্যাতিতার বাবা-মা-ও। যে আর জি করে মেয়ের নিথর দেহ আনতে গিয়ে 'চরম হেনস্থার' শিকার হয়েছিলেন, সেই আর জি কর-এই আন্দোলনকারী চিকিৎসকের পাশে দাঁড়িয়ে 'রাত দখলে' সামিল হলেন তাঁরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে তুললেন একের পর এক প্রশ্ন। পুলিশ-হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পর পর বিস্ফোরক প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিলেন। মৃত্যু থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগের পাশাপাশি শ্মশানের টাকায় গোপনীয়তাও অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতার বাবা।
পুলিশের বিরুদ্ধে মেয়ের দেহ হাইজ্যাকের অভিযোগ পরিবারের। 'কেন মেয়ের দেহ সৎকারে এত তাড়াহুড়ো করেছিল পুলিশ?
তাঁরা বলেন হাসপাতালে ডেকে সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ, আমরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম, অভিযোগ পরিবারের।'
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বুধবার রাতে পথে নেমেছিল কলকাতা থেকে জেলা। 'কবে হবে বিচার', 'কবে দোষীরা সকলে শাস্তি পাবে'? 'আর কবে'?
রাত দখলের রাতে উঠে আসে পর পর প্রশ্ন, স্লোগান, সঙ্গীত। বিচারের দাবিতে 'অন্ধকার এক রাত্রি দেখে কলকাতা থেকে জেলা।
অন্ধকার সেই মুহূর্তে জ্বলে ওঠে লক্ষ লক্ষ মোমবাতি। সেই আলোতেই তিলোত্তমার বিচার চেয়ে গর্জে ওঠে তিলোত্তমা।