- Home
- West Bengal
- Kolkata
- 'এতদিন তো সরু চালের ভাত খেয়েছি-এই খাবার মুখে তোলা যায়?' জেলে সন্দীপের দাবি দাওয়ায় নাজেহাল কর্মীরা!
'এতদিন তো সরু চালের ভাত খেয়েছি-এই খাবার মুখে তোলা যায়?' জেলে সন্দীপের দাবি দাওয়ায় নাজেহাল কর্মীরা!
জেলে কেমন আছেন 'মহামান্য' সন্দীপ ঘোষ! আরজি কর হাসপাতালের এই প্রাক্তন অধ্যক্ষের নাকি একাধিক দাবি দাওয়া শুনতে হচ্ছে জেলের কর্মীদের। আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সেখানে কেমন দিন কাটছে সন্দীপ ঘোষের, জেনে নিন।
| Published : Sep 13 2024, 05:03 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সংবাদ শিরোনামে রয়েছে আরজি কর হাসপাতাল।
গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চারতলায় সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকের রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।
তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সে রাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে কলকাতা হাই কোর্টের এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।
এদিকে, আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁকে ঘিরে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে।
আরজিকর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। পাশাপাশি চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ এবং হত্যা মামলাতেও তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। সন্দীপকে আপাতত রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে।
এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বুধবার দুপুরের মেনুতে ছিল মোটা চালের ভাত এবং একেবারে পাতলা ডাল। সঙ্গে ছিল একটি সবজি।
তা দেখে বেজায় চটে যান সন্দীপ ঘোষ। তিনি জেলের খাবার পরিবেশনকারী কর্মীকে বলেন, "এই মোটা চালের ভাত কেউ খেতে পারে? এই ভাত কি মুখে তোলা যায় ? আমি সবসময় সরু চালের ভাত খাই।"
তা শুনে পাল্টা ওই জেলকর্মী বলেন, "দেখুন, এখানে এমনই খাবার দেওয়া হয়ে থাকে। আমি ইচ্ছে হলে খাবেন। না পছন্দ হলে খাবেন না।"
সূত্রের খবর, এর কিছুক্ষণ পরে সেই খাবার সন্দীপ খেতে শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ খাওয়ার পরেই থালা একপাশে ঠেলে দিয়ে দেন।
এখানেই থেমে থাকেননি সন্দীপ। এরপরে তিনি বেশ কয়েকজন জেলকর্মীকে ডেকে বলেন, তাঁর জন্য জেলের বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে।
তা শুনে জেলকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে সন্দীপের প্রস্তাব খারিজ করে দেন। প্রেসিডেন্সি জেলে সন্দীপের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পরের দিন সন্দীপের আচরণে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখে জেলকর্মীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন শরীর ঠিক আছে কিনা।
তখন সন্দীপ জানান, সারা রাত তাঁর কোনও ঘুম আসেনি। একদিকে কেস নিয়ে চিন্তা এবং অন্যদিকে মশার কামড়ে ঘুম আসছে না। তখন উত্তরে জেল কর্মী বলেন, এটা তো আপনাকে মানিয়ে নিতেই হবে। এটা তো আর আরজিকর নয়।
একই জেলে রাখা হয়েছে আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিতিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনে একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রাই (রায়)-কে। তাকেও প্রথমে জেলে নিয়ে আসার পরে সমস্যা তৈরি হয়েছিল।
জেলের খাবার কোনওমতেই খেতে চাইছিল না সঞ্জয়। এমনকী জেলকর্মীদের কাছে এগ চাউ দাবি করতে থাকে সে। যদিও সেই দাবি মানা হয়নি। এখন সঞ্জয় জেলের খাবারই খাচ্ছেন।