মিহির কুমার রায় নামের ওই সেনা আধিকারিকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে এখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ওই প্রাক্তন সেনা কর্তা।
বিরাট সাইবার প্রতারণার শিকার প্রাক্তন বায়ুসেনা আধিকারিক। ফের সামনে এল ডিজিটাল অ্য়ারেস্টের বিষয়টি। এই খবর প্রকাশিত হতেই বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মিহির কুমার রায় নামের ওই সেনা আধিকারিকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে এখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ওই প্রাক্তন সেনা কর্তা।
অভিযোগ, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওনার কাছে একটি ফোন আসে। সেই রহস্যজনক কলে তাকে বলা হয় ২ ঘন্টার মধ্যে তার ফোন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর এসব কেন করা হচ্ছে তা বিস্তারিত জানার জন্য, আন্ধেরি পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করতে বলে একটি নম্বরও দেওয়া হয় তাকে। সেই নম্বরে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন সাইবার ক্রাইম অপরাধে গ্রেপ্তার করা হবে তাকে। বিষয়টি শুনেই প্রচন্ড ভয়ে পেয়ে যান তিনি।
তার আইনজীবী শ্রী রাজেশ ক্ষেত্রী জানান, নিউটউনের বাসিন্দা ওই প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের কাছে এই ঘটনার পর থেকেই আরবিআই এর নাম করে বিভিন্ন চিঠি আসতে থাকে। যার মধ্যে একটি চিঠিতে বলা হয় তার অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে ৮ কোটি টাকা ঢুকেছে। আর এইজন্যই সাইবার ক্রাইম অপরাধে গ্রেপ্তার করা হবে তাকে। তারপর থেকেই শুরু হয় ভয় দেখানো। নানাভাবে ভয় দেখিয়েই তার কাছ থেকে ব্যাঙ্ক মারফত ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
কোনো বড়সড় প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়েছেন বুঝতে পেরেই তিনি তৎক্ষণাৎ অভিযোগ দায়ের করেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম দপ্তরে। কিন্তু যথাযথ প্রমান দেওয়া সত্বেও তদন্তে বিশেষ তৎপরতা না দেখানোয়, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মিহির বাবু। হাই কোর্ট থেকে তদন্তে দ্রুততা আনার রায় দেওয়া সত্বেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায়, এখন সুপ্রিম কোর্ট এর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। দেশের শীর্ষ আদালত এবার কী রায় দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে নিউটউনের বাসিন্দা ওই প্রাক্তন সেনা আধিকারিক।


