সংক্ষিপ্ত

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। তবে শুধু দেশই নয়, দেশের বাইরেও সন্দীপের কুকীর্তি ছড়িয়ে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

'প্রাচ্যের লন্ডন' হিসেবে পরিচিত হংকং বাঙালিদের কাছে ‘টিনটোরেটোর যীশু’-র জন্য বিখ্যাত। হংকংয়ে কীর্তি স্থাপন করেছিলেন প্রদোষ চন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদা। অপর এক বাঙালিরও হংকংয়ে কীর্তি রয়েছে। এই বাঙালির নাম সন্দীপ ঘোষ। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের একের পর এক কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসছে। এর মধ্যে অন্যতম কুকীর্তি হল, ২০১৭ সালে হংকংয়ে গিয়ে এক পুরুষ নার্সের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন সন্দীপ। সেই সময় অবশ্য আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন না সন্দীপ। এরপর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার পরেও কুকীর্তি চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি।

হংকংয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ!

২০১৭ সালের ২৯ মে 'সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কাউলুনের ক্যুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে কর্মরত এক পুরুষ নার্স অভিযোগ করেন, ৮ এপ্রিল এক ভারতীয় চিকিৎসক তাঁর পশ্চাদ্দেশে আপত্তিকরভাবে চাপড় দেন। এরপর প্রশ্ন করেন, 'ডু ইউ লাইক ইট?' এই ভারতীয় চিকিৎসকই সন্দীপ। তাঁর বিরুদ্ধে হংকংয়ের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই পুরুষ নার্স। এরপর সন্দীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে হংকংয়ের আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে এই পুরুষ নার্স অভিযোগ করেন, তিনি পোশাক বদল করার সময় পশ্চাদ্দেশে চাপড় মারা ছাড়াও গোপনাঙ্গ স্পর্শ করার চেষ্টা করেন এই চিকিৎসক। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন সন্দীপ

কেন হংকং গিয়েছিলেন সন্দীপ?

২০১৭ সালে এই ঘটনার সময় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন সন্দীপ। তিনি চিকিৎসা সংক্রান্ত অনুষ্ঠান উপলক্ষে হংকংয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই কুকীর্তির জন্য আইনি জালে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

আর জি করে মৃতার পোশাক নিয়ে পুলিশের বাজেয়াপ্ত জিনিসের তালিকা এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরস্পর-বিরোধী তথ্য, ধন্দে সিবিআই

আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরও এই ভয়ঙ্কর কাজে মেতেছিলেন সন্দীপ! মারাত্মক তথ্য পেল CBI

YouTube video player