সংক্ষিপ্ত
বুধবার 'থ্রেট কালচার'-এ অভিযুক্ত একাধিক চিকিৎসককে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ডেকে পাঠিয়েছিল। তাঁরা হাসপাতালে যাওয়ার পরই উত্তপ্ত হয় পরিবেশ।
আরজি কাণ্ডে ফের আন্দোলনে নামতে চলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নির্যাতিতার বিচার, থ্রেট কালচারের উৎখাত-সহ একাধিক দাবির কথা তুলে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর একটি কর্মসূচি নিয়েছে তাঁরা। সেখান থেকেই পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাবেন। এদিকে, বুধবার সন্ধে নামতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আরজি কর।
বুধবার 'থ্রেট কালচার'-এ অভিযুক্ত একাধিক চিকিৎসককে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ডেকে পাঠিয়েছিল। তাঁরা হাসপাতালে যাওয়ার পরই উত্তপ্ত হয় পরিবেশ। জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। স্লোগানও দেওয়া হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ধাক্কাধাক্কি হয় দুই পক্ষের। অভিযুক্তদের তাড়া করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরজি করে 'থ্রেট কালচার' চালানোর অভিযোগ ওঠার পর ৫১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যেই ১২ জন বুধবার হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে হাজিরা দেন। তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক ছাড়াও রয়েছেন হাউসস্টাফ, ইন্টার্নরা। হাসপাতালে তাঁদের ঢুকতে দেখেই জুনিয়র ডাক্তাররা ক্ষোভ দেখান। তাঁদের লক্ষ্য করে 'চোর চোর' স্লোগানও ওঠে। পরে হাসপাতাল থেকে তাঁরা যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন সেই সময় উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই গন্ডগোল বাঁধে। দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কিতে কারও কারও জামাও ছেঁড়ে বলে অভিযোগ। পরে ওই অভিযুক্তদের কার্যত তাড়া করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সবশেষে সিআইএসএফ জওয়ানরা নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন অভিযুক্তদের। জুনিয়র ডাক্তাররা অবশ্য বলছেন, তাঁরা কারও গায়েই হাত তোলেননি। অভিযুক্তদের মধ্যেই অনেকে নিজেদের জামা নিজেরা ছিঁড়েছেন!
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।