যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এখনও হাসপাতালে ভর্তি। রক্তচাপ ওঠানামা করছে এবং শারীরিক অবস্থা দুর্বল। শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং সকলকে উপাচার্যের প্রতি মানবিক ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
২৪ ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে, এখনও হাসপাতালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। ওঠানামা করছে রক্তচাপ। চলছে স্যালাইনও। শরীর এখনও দুর্বল। তেমনই এখনও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে বলে জানানো হয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে।
বুধবারই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। জানা গিয়েছে, শনিবারের পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পরেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। তার রক্তচাপের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল। কোনও ওষুধ কাজ করছিল না। সে কারণে তৎক্ষণাত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি উপাচার্য।
ভর্তির সময় ভাস্কর গুপ্তর চিকিৎসকর অরিন্দম বিশ্বাস বলেছিলেন, ‘ওঁর রক্তচাপ ওঠানামা করছে। ওষুধ দিয়েও তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। যেহেতু বছর কয়েক আগে একবার ওঁর সেলিব্রাল অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে, তাই আমরা দ্রুত তাঁকে ভর্তি করে নিয়েছি।’
গতকাল উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে যান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল যেভাবে তাঁকে হেনস্থা করছে, এটা অকল্পনীয়। আমি ওনাকে দেখতে এসেছিলাম। ডাক্তার নিজেই বললেন, কোনওরকম মানসিক চাপ দেওয়া যাবে না। স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে। হার্টের অবস্থা ভালো নয়। আমি সবপক্ষকে অনুরোদ করব, উপাচার্যের জীবনের দিকে তাকিয়ে একটু মানবিক ব্যবহার যেন তাঁর সঙ্গে করা হয়।’
বর্তমানে তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে উপাচার্যরা হাজির হন। গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেদিন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্লোগানও তোলে। এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ বেশ কিছু শিক্ষক হেনস্থার শিকার হন। এই পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তা বাড়ানো হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিল নবান্ন। এদিকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত।


