সংক্ষিপ্ত
প্রেমিকার রিল ভিডিও করায় আপত্তি তুলেছিলেন উত্তর কলকাতার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের সুখদেব ভৌমিক। তাতেই আত্মহত্যা করেন প্রেমিকা সংযুক্তা।
রিল ভিডিও তৈরি করে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে আপলোড করতে ভালবাসতেন ১৯ বছর বয়সী সংযুক্তা দাস। তাঁর বাড়ি ছিল কলকাতার মুচিপাড়ায়। তাঁর প্রেমিক ছিলেন উত্তর কলকাতার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের ২৩ বছর বয়সী যুবক সুখদেব ভৌমিক। সংযুক্তার রিল ভিডিও তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়ান সুখদেব। এতেই চরমে ওঠে প্রেমিক প্রেমিকার বিবাদ। সেই বিবাদ গিয়ে পৌঁছয় একেবারে আত্মহত্যার মতো সাংঘাতিক পদক্ষেপে। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েন সংযুক্তা দাস। তাঁর মৃত্যুর দায়ে ২৩ বছর বয়সী সুখদেবকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করল পুলিশ।
রিল ভিডিও তৈরি করে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে আপলোড করতে ভালবাসতেন ১৯ বছর বয়সী সংযুক্তা দাস। তাঁর বাড়ি ছিল মধ্য কলকাতার প্রেমচাঁদ বরাল লেনে। তাঁর প্রেমিক ছিলেন উত্তর কলকাতার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের ২৩ বছর বয়সী যুবক সুখদেব ভৌমিক। সংযুক্তার রিল ভিডিও তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়ান সুখদেব। এতেই চরমে ওঠে প্রেমিক প্রেমিকার বিবাদ। সেই বিবাদ গিয়ে পৌঁছয় একেবারে আত্মহত্যার মতো সাংঘাতিক পদক্ষেপে। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েন সংযুক্তা দাস। তাঁর মৃত্যুর দায়ে ২৩ বছর বয়সী সুখদেবকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯ বছর বয়সী সংযুক্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় ছিলেন। নিজের ফলোয়ারদের দেখানোর জন্য প্রায়শই নিজের ভিডিও বা রিল ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে ভালবাসতেন তিনি। কিন্তু, তাঁর প্রেমিক সুখদেব ভৌমিক মোটেই এটি ভালো চোখে দেখতেন না। সংযুক্তাকে প্রায়শই এই কাজ করতে বারণ করতেন তিনি। সম্প্রতি সংযুক্তার একটি ভিডিওতে আসা কিছু ফলোয়ারদের মন্তব্য একেবারেই পছন্দ হয়নি সুখদেবের। সেই নিয়েই তিনি চটে যান সংযুক্তার ওপর, দুই প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে তর্কবিতর্ক চরমে ওঠে।
বিগত ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সুখদেব এবং সংযুক্তা। সোমবার তাঁদের মধ্যে বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। প্রথমে দুজনের ফোনে তর্ক হয়, তারপর মুখোমুখি দেখা করে ব্যাপক রাগারাগি হয় এই যুগলের মধ্যে। তখন সুখদেব সংযুক্তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন, সংযুক্তা ফোন ফেরত দিতে বললেও সুখদেব ফোন ফেরত দেননি। এরপর সংযুক্তা রাত ৮টা নাগাদ প্রেমচাঁদ বরাল লেনে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন, আর আসার সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এর ঘণ্টা দুয়েক পর তাঁর দাদা দরজায় ধাক্কা দিলেও তিনি সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। সংযুক্তার দাদা তৎক্ষণাৎ সুখদেবকে ফোন করেন। দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে শুনে তাঁর দাদার সন্দেহ হয় এবং তিনি সংযুক্তার ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন।
দরজা ভাঙার পরেই দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে সংযুক্তার দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশে মামলা দায়ের করে সংযুক্তার পরিবার। সুখদেবের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু হয়। উত্তর কলকাতার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিট থেকে সুখদেবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
‘স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার তাদের তর্ক করতে শুনেছেন’, জানিয়েছেন পুলিশের একজন কর্মকর্তা। “আমাদের কাছে ফোনের মেসেজ এবং ফোন কথোপকথনের মতো প্রমাণও রয়েছে। আমরা সুখদেব ভৌমিকের বাড়ি থেকে সংযুক্তা দাসের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছি। কেন তিনি বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযুক্তার ভিডিও পোস্ট করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন, তা জানতে আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করব”, জানিয়েছে পুলিশ। সংযুক্তা এবং সুখদেবের মোবাইল ফোন ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হবে। তরুণীর ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে তদন্ত করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন-
Viral Video: নিজের মুখের ভেতরেই একের পর এক গুলি করলেন নিরাপত্তারক্ষী! কী ঘটল তারপর?
মানুষের আসল ধর্ম কী? বিশেষ কয়েকটি শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের বলে গেছেন ভগবান হনুমান
অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে জেদি চিন, এবার ভারতের অধিকার নাকচ করে নামটাই বদলে ফেলার পরিকল্পনা