সংক্ষিপ্ত

Illegal Money Seized Kolkata: শহরে ফের উদ্ধার টাকার পাহাড়। তবে এ যেন ঠিক সিনেমার কায়দায় ডাকাতির চেষ্টা। ট্যাক্সিতে উঠে যাত্রীর থেকে নগদ টাকা ছিনতাই… 

Illegal Money Seized Kolkata: শহরে ফের উদ্ধার টাকার পাহাড়। তবে এ যেন ঠিক সিনেমার কায়দায় ডাকাতির চেষ্টা। ট্যাক্সিতে উঠে যাত্রীর থেকে নগদ আড়াই কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ ডাকাতির অভিযোগ উঠল দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর চাউর হতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৫ মে সোমবার ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আরও জানা গিয়েছে, সম্রাট ঘোষ নামের এক ব্যক্তি গত ৫ মে তার এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পার্ক সার্কাস এলাকার (park circus) এলাকার একটি রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ব্যাঙ্কে ২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা জমা করতে যাচ্ছিলেন।

অভিযোগ, সেই সময় জোর করে তাদের ট্যাক্সিতে দুজন উঠে পড়ে। এরপর জোর করে তাদের কাছে থাকা টাকা ছিনতাই করে পালায় ওই দুস্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সম্রাট ঘোষ ও তার বন্ধু একটি বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংস্থার কর্মী। সোমবার ডাকাতির ঘটনার পরই তারা দুজন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।

ধৃতদের নাম সঞ্জীব দাস ও পচা, মহম্মদ সারফারজ ওরফে সোনু, রিজু হাজরা, শেখ শাহরুখ, এবং আলমগীর খান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ সঞ্জীব দাসকে জেরা করে জানতে পারে যে, অভিযুক্ত তার বন্ধু শৈলেনের বাড়িতে টাকা লুকিয়ে রেখেছে। এরপর বৃহস্পতিবার বারুইপুরের সুভাষগ্রামে শৈলেনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ২৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, তার বাড়িতেও কয়েক লক্ষ টাকা রয়েছে। এরপর তিলজলায় তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয় নগদ ৩ লক্ষ টাকা। তবে আর বাকি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তা জানতে ধৃতদের ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে অবৈধ বাংলাদেশি ও অবৈধ পাকিস্তানী নাগরিকদের খোঁজে তল্লাশি বা ধর পাকর শুরু হয়েছে। আর তাতেই একে একে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা দেশ ছেড়ে অবৈধভাবে চোরাপথে পালানোর চেষ্টা করছে। এবার এই পালানোর চেষ্টার সময় আটক ১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক। পাশাপাশি তাদেরকে সহযোগিতা করার অভিযোগে এক ভারতীয় দালালকেও গ্রেফতার করে ধানতলা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলায় নদীয়ার ধানতলা থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই ১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং একজন ভারতীয় দালালকে ধানতলা থানার নিরালা পাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ভারতীয় দালালের নাম রামুদাগার কামাত। ধৃত দালালের বাড়ি বিহারের মধুবনী জেলার খুতানোয়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর ধৃত ১৬ জন বাংলাদেশি তারা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত দিয়ে বেশ কয়েক মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এরপর বাংলাদেশিরা ভারতবর্ষের পশ্চিম অংশে বিভিন্ন কাজে তারা যায়। বর্তমান ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ভারতবর্ষের মধ্যে ধরপাকড় শুরু হয়েছে অবৈধ বাংলাদেশি ও পাকিস্তানী নাগরিকদের। তার ফলেই তারা বাংলাদেশে অবৈধভাবে পালিয়ে যাওয়ার কারণেই দত্তপুলিয়া এলাকায় চলে আসে। এবং ভারতীয় দালাল মারফত তারা আবার বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধানতলা থানার পুলিশ ধৃতদেরকে আটক করে। শুক্রবার ধৃতদের রানাঘাট আদালতে পেশ করা হয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।