Kolkata Police On Nabanna Abhiyan: রাত পোহালেই নবান্ন অভিযান। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়ের মৃত্যুর বিচার পেতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে নিহত তরুণীর বাবা-মা। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Kolkata Police On Nabanna Abhiyan: আরজি কর কাণ্ডের একবছর। শহরের নামকরা সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট তরুণী ডাক্তা হত্যাকাণ্ডে শনিবার হচ্ছে একবছর। তবুও ন্যায় বিচার এখনও অধরা। বহাল তবিয়তে রয়েছে প্রকৃত অপরাধীরা। এই অভিযোগ তুলে ৯ অগাস্ট শনিবার শহরে জোড়া মিছিল। শনিবার একদিকে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা। অন্যদিকে আগামীকাল কালীঘাট অভিযানের ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। কোন পথে কাল শহরের মিছিল? নবান্ন অভিযান আটকাতে কী ব্যবস্থা নিলো কলকাতা পুলিশ?
শুক্রবার বিকেলে এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে কলকাতা পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার, কলকাতা ও হাওড়ার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং প্রবীণ ত্রিপাঠি বৈঠক করেন। শুক্রবার ভবানী ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, ''কেউ নবান্ন অভিযানের জন্য কোনও আবেদন পত্র আসেনি। কোনও সংগঠন বা রাজনৈতিক দল আবেদন করেনি।''
তিনি আরও বলেন, ‘’গত বছর এই ইস্যুতেই নবান্ন অভিযান হয়। সেই ছাত্র সংগঠনsর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয় তারা জানিয়েছেন তারা করছেন না। ইতিমধ্যেই এই বিষয়s আদালতে একটি মামলা হয়। আদালত নির্দেশিকা দিয়েছে। কোনও অর্গানাইজার যোগাযোগ রাখছিলেন না। আদালত এর নির্দেশ যেন ঠিক ভাবে মানা হয়। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে দুটো মামলা রুজু হয়। একটা সিঙ্গেল বেঞ্চ ব্যবসায়ীদের সংগঠন, অন্যটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। তারপর ডিভিশন বেঞ্চ একটা জাজমেন্ট দিয়েছে। সিঙ্গেল বেঞ্চে যে মামলা ছিল সেটা এখনো অপেক্ষায় আছি। তাই ডিভিশন বেঞ্চের অর্ডার টা একটু বুঝে নেওয়া হোক। ''
‘’নবান্ন রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে। খুব সংবেদনশীল জায়গা। নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় কোনও রকম মিটিং মিছিল করা বেআইনি হাইকোর্টের নির্দেশে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। হাওড়া পুলিশ জানিয়েছে, সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ডে মিছিল করা যেতে পারে। প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে। কলকাতা পুলিশের তরফে আর আর অ্যাভিনিউতে হতে পারে। ইন্টেলিজেন্সের ইনপুট থেকে আমরা পেয়েছি কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি। তাদের জানিয়ে দিচ্ছি সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ড এবং কলকাতা রাসবিহারী অ্যাভিনিউতে করতে পারেন। এবং আমায় জানান কত বাস আসবে কত লোক আসবে। রেল পথে সড়ক পথে। আইন অগ্রাহ্য করে যদি হিংসা হয় তাহলে পদক্ষেপ নিলে পুলিশ পদক্ষেপ নেবে।''
‘’আমরা জানি না কারা এটার অর্গানাইজার আছে। হাইকোর্ট কি বলেছে সেটা আশা করি ওনারা জেনে রাখবেন। সেই অনুযায়ী এগোবে। শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি নেবেন। অভয়া মঞ্চ থেকে কালীঘাট অভিযানের ডাক দেওয়া ছিল। সেটা করা যাবে না। জানিয়েছিলাম। ওদের পরিবর্তিত জায়গার কথার বলেছি। আমরা অপেক্ষা করছি হাইকোর্টের নির্দেশের। এলে জানিয়ে দেওয়া হবে সবাইকে।''
গতবার নবান্ন অভিযানের সময় কন্টেনার বসাতে হয়েছিল। পুলিশের ব্যবস্থা যেখানে যেখানে দরকার আমরা করছি।অভয় মঞ্চের মিছিল: বিকল্প জায়গা কালীঘাট নিয়ে জানিয়েছিলাম। কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার ৫ পয়েন্ট অব্দি বলেছি। রাজনৈতিক সাধরণমানুষ বা পুলিশ সবাইকেই আইন মেনে করতে হবে। পুলিশের তরফ থেকে সব রকম ব্যবস্থাপনা থাকছে। কোথাও আইন ভাঙ্গা হলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দু-জায়গা থেকে জমায়েতের কথা বলা হয়েছিল। তাই দুটো জায়গা দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সংলগ্ন চত্বরে জমায়েত করা যাবে না। কলকাতাতেও যেখানে ১৬৩ বিএনএস আছে সেখানে কোনো জমায়েত মিছিল করা যাবে না। যে কোনো নবান্ন অভিযান মানেই একটা বিশৃঙ্খলার ট্রেডিশান ইতিহাস আছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হোক। তার জন্যই এই জায়গা নির্বাচন করা। পার্কিং সব কিছুর ব্যবস্থা করে দেব।।যা যা পুলিশের তরফ থেকে করার আছে করে দেব।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


