কুণাল ঘোষও দাবি করলেন, ২০২৬ সালের বাংলা থেকে তৃণমূল জিতবে আড়াইশোরও বেশি আসনে । চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি এটাও লিখে দেন, বাকি কোথায় কী হল, আমাদের বিষয় নয়।  

প্রায় ২৭ বছর পর দিল্লির সিংহাসনে ফিরছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বুথ ফেরত সমীক্ষা একেবারে মিলে গেল। গননার সময় যত গড়িয়েছে ততই আনন্দের রেশ বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে। একটা সময় পর স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছিল আর আসতে পারছে না কেজরিওয়ালের দল।

দিল্লির জয়ের খবরে উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছেন বাংলার বিজেপির নেতারাও। এই জয়ের পর তাঁদের অনুমান, দিল্লির পথে এবার হাঁটবে বাংলাও। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের এক সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে বাংলা দখলের ডাক দিয়েছেন। বাংলার বিজেপি নেতাদের উচ্ছ্বাস দেখে টুইট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করেছেন, আগামী বছর বাংলা থেকে তৃণমূল জয়ী হবে ২৫০টিরও বেশি আসনে ।

শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে জনসংযোগ যাত্রা থেকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, তৃণমূলের এই সরকার ২৬ সালের পর আর বাংলার ক্ষমতায় থাকবে না। তিনি ২৭ বছর পর বিজেপির দিল্লি দখলের উদাহরণ দিয়ে সবাইকে জোট বাঁধতে বললেন তৃণমূলকে হাঁটানোর জন্য।

এদিন টুইটে কুণাল ঘোষও দাবি করলেন, ২০২৬ সালের বাংলা থেকে তৃণমূল জিতবে আড়াইশোরও বেশি আসনে । চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি এটাও লিখে দেন, বাকি কোথায় কী হল, আমাদের বিষয় নয়। দিল্লির বিষয় দিল্লিতে, এখানে কোনো মন্তব্য নেই। বাংলায় ওসবের প্রভাবও নেই।বিজেপির দিল্লি জয়ের বিষয় নিয়ে উৎসবের মেজাজ গেরুয়া শিবিরে। বাংলার জেলাগুলোতেও ২০২৬শে বাংলার নির্বাচন নিয়ে তরজা শুরু হয়ে তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে দিল্লির ভোটে আম আদমি পার্টি ৬৯টি আসনে জয়ী হয় এককভাবে । বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৩টি আসন । কংগ্রেস শূন্য । ২০২০ সালে কেজরিওয়ালের দল ৬২টি আসনে জিতেছিল ।বাংলার বিজেপি নেতারা এই পরিসংখ্যান দেখে দাবি করেছেন, যেভাবে অহঙ্কারের ফলে পতন হয়েছে কেজরিওয়ালের একইভাবে বাংলাতেও পতন ঘটবে তৃণমূলের।

বিজেপির এই উৎসাহকে মোটেও পাত্তা না দিয়ে বাংলার জনমুখী প্রকল্পের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী মত প্রকল্প রয়েছে বাংলায়। ফলে দিল্লি ভোটের নিরিখে বাংলার বিচার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন, দিল্লিতে যাই হোক বাংলায় পরিবর্তন হবে না ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।