সংক্ষিপ্ত

ফের পথে নামছে বামেরা। এবার লালবাজার অভিযানের ডাক দিল বামেদের ছাত্র,যুব এবং মহিলা সংগঠন। ওদিকে সিপিএম-এর (CPM) রাজ্য সম্মেলনের দিনক্ষণও প্রায় চূড়ান্ত।

ফের পথে নামছে বামেরা। এবার লালবাজার অভিযানের ডাক দিল বামেদের ছাত্র,যুব এবং মহিলা সংগঠন। ওদিকে সিপিএম-এর (CPM) রাজ্য সম্মেলনের দিনক্ষণও প্রায় চূড়ান্ত।

আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডের জেরে ফের একবার পথে নামতে চলেছে বাম ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠন। শনিবার, অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআই (SFI), ডিওয়াইএফআই (DYFI) এবং এআইডিডব্লিউএ (AIDWA)। জানা যাচ্ছে, কলেজস্ট্রিট থেকে শুরু হবে এই অভিযান, আর গন্তব্য সোজা লালবাজার।

ইতিমধ্যেই এই অভিযানের প্রচারও জোরকদমে শুরু করে দিয়েছেন বাম কর্মীরা। প্রসঙ্গত, এর আগেও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের বাইরে তারা অবস্থানে বসেন। এমনকি, লাগাতার সেই অবস্থানের পর গত ১৪ অগাস্ট, বাম ছাত্র, যুব এবং মহিলারা সুবিশাল মশাল মিছিলও করেন শ্যামবাজার অবধি। ঠিক যেদিন রাতে আর জি করে হামলার ঘটনা ঘটে।

এরপর লালবাজার থেকে বাম নেতৃত্ব সহ অনেককেই নোটিস পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে, লালবাজারে তাদের তলবও করা হয়। কিন্তু নেতৃত্বরা দাবি করেন, তাদের সংগঠনের কেউ এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন না। সবথেকে বড় বিষয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেককে এও বলতে শোনা গেছে যে, সেদিন যদি বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় নির্যাতিতার শববাহী গাড়িটি না আটকাতেন তাহলে হয়ত পুরো ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যেত।

কার্যত, এই ঘটনার পর থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গেছেন তারা। আর এবার সোজাসুজি লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছেন তারা।

জানা যাচ্ছে, শনিবার বেলা ১.৩০ মিনিট নাগাদ শুরু হবে তাদের এই অভিযান। আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে এবং মিথ্যা মামলায় কর্মীদের ফাঁসানোর বিরুদ্ধে তাদের এই প্রতিবাদ বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব।

অন্যদিকে, আগামী বছরের শুরুতেই সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন হতে চলেছে। সূত্রের খবর, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন। জানা যাচ্ছে, আগামী ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি হুগলিতে অনুষ্ঠিত হবে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন।

সূত্র মারফৎ জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকার ভিত্তিতে এরিয়া কমিটির বিভাজন এবং দলীয় সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে কমিটির সদস্য সংখ্যা ঠিক করা সহ একাধিক বিষয়ে পুরনো কিছু সিদ্ধান্ত শিথিল করা হতে পারে। ফলে, বিভিন্ন এলাকায় এরিয়া কমিটির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সেই কমিটিতে যুক্ত হওয়া লোকজনের সংখ্যাও বৃদ্ধি করার বিষয়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট রাস্তা খোলা রাখতে চেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।