সংক্ষিপ্ত

স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার। নতুন সমিতিতে ডাক্তার, নার্স সহ একজন পুলিশ আধিকারিকও থাকবেন।

স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় ঘোষণা। জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হল। নতুন করে তা গঠন করা হবে। সেই সমিতিতে থাকবেন ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার ও নার্স। থাকবে একজন করে পুলিশ আধিকারিকও।

আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় রোগী কল্যাণ সমিতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এছাড়াও রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির রোগী কল্যাণ সমিতির ভূমিকা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে সরব। কিন্তু এতদিন প্রশাসন এই ব্যাপারে উদাসীন থিল। এবার সেই ঘুঘুর বাসা ভাঙতে উদ্যোগী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সমস্ত রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হল বলেও তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চ থেকে জানিয়ে দিলেন।

শনিবার বৃষ্টির মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাদের কাছে কর্মবিরতি তোলার আবেদন জানান। মুখ্যমন্ত্রী তাদের দাবি মানার জন্য তাঁদের কাছ থেকে সময়ও চেয়ে নেন। যদিও পাল্টা ডাক্তাররা জানিয়েদেন তাঁরা আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেবন। তারা মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চে যাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিজেদের পাঁচ দফা দাবিতে অনড়ও রয়েছে। কিন্তু মমতা সেখান থেকেই রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করে একটি বড় পদক্ষেপ করলেন বলেও মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ রোগী কল্যাণ সমিতির রাশ এতদিন ধরে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের হাতে। সেই সূত্রধরেই হাসপাতালগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজও চলত।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।