Kolkata Metro: অফিস টাইমে মেট্রোয় যাত্রী ভোগান্তি। জমা জলের কারণে ব্যাহত পরিষেবা। কতদূর পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Kolkata Metro News: দিনের ব্যস্ত সময়ে ফের মেট্রো ভোগান্তি। জমা জলে ফের দুর্ভোগ যাত্রীদের। যতীন দাস পার্ক এবং নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনের মাঝে জল। যারফলে ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা। পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করতে মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারদের ট্যানেলে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে জল ঢুকল , নির্দিষ্ট কোনখানে জল জমেছে সব কিছু খতিয়ে দেখে দ্রুত মেট্রো পরিষেবা আবারো শুরু করা হবে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। যদিও এখনও পর্যন্ত দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান এবং শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে মেট্রোয় দুর্ভোগ এই প্রথম নয়। গত জুলাই মাস থেকে যাত্রী হয়রানি অব্যাহত ব্লু লাইন মেট্রোয়। পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বন্ধ রয়েছে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। যারফলে গড়িয়া অবধি চলছে না মেট্রো। তারই মধ্যে ফের বুধবার সকালে মেট্রোয় জমা জলে নতুন বিপত্তি। বিপর্যস্ত পরিষেবা। জানা গিয়েছে, একদিকে যেখানে নতুন মেট্রোপথ উদ্বোধনের প্রস্তুতি তুঙ্গে, অন্যদিকে পুরনো ব্লু লাইনের দুরবস্থা নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। রাইটস সমীক্ষক সংস্থার প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ থেকে একাধিক প্ল্যাটফর্মের ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। আর তার ফলেই মাঝেমধ্যেই বন্ধ রাখতে হতে পারে ব্লু লাইনের বিভিন্ন অংশের মেট্রো পরিষেবা।
সম্প্রতি পিলারে ফাটল ধরা পড়ায় কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন বন্ধ করতে হয়েছিল। এর পরই অন্য স্টেশনগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়। রিপোর্ট হাতে আসতেই তড়িঘড়ি টেন্ডার ডাকল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেন্ট্রাল থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রোপথে প্ল্যাটফর্ম, ট্র্যাক, এসি ভালভ-সহ যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। মোট খরচ ধরা হয়েছে ৮৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫০ টাকা এবং সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে ৯ মাস।
মেট্রো সূত্রে খবর, রাইটস তাদের রিপোর্টে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে তিনটি বিষয়ে— (১) মেট্রোর লাইন বা ট্র্যাক, (২) ডি-ওয়াল-সহ সুড়ঙ্গের বর্তমান অবস্থা এবং (৩) প্ল্যাটফর্ম ও পিলার। ভূগর্ভস্থ অংশের দুর্বল অবস্থার কারণে বর্তমানে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলার সক্ষমতা থাকলেও ট্রেন চালানো হচ্ছে সর্বাধিক ৫৫ কিমি/ঘণ্টায়।
শহরের একাধিক ভূগর্ভস্থ স্টেশনের অবস্থা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে রাইটসের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। ইতিমধ্যেই খোদ মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একদিকে নতুন মেট্রোপথ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, অন্যদিকে পুরনো পথে এই ভয়াবহ চিত্র যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবার ধারাবাহিকতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


