সংক্ষিপ্ত

মহাকুম্ভের ঘটনা নিয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যোগী সরকারের চরম অব্যবস্থার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন,  ডেথ সার্টিফিকেটের নিয়ম এটা নয়। এভাবে হয় না। যার কেউ নেই, তার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন।

গঙ্গাসাগর মেলার ব্যবস্থাপনার উদাহরণ তুলে ধরে মহাকুম্ভের তুলনা টেনে সরব হলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।মহাকুম্ভে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বিজয়গড়ের বাসিন্দা বৃদ্ধা বাসন্তী পোদ্দারের। ছেলে, মেয়ে এবং বোনের সঙ্গে ওই বৃদ্ধা মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন অমৃত স্নান করতে। হুড়োহুড়িতে ভিড়ের মধ্যে পড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শোকগ্রস্থ পরিবারের অভিযোগ,বৃদ্ধা বাসন্তী পোদ্দারের যথাযথ ডেথ সার্টিফিকেটট দেয়নি।এমনকী দেহ হস্তান্তরের যে নথি দিয়েছে সেটাও যথাযথ নয় বলে দাবী পরিবারের।এমনকি চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৃতার ছেলে।তাঁর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের সরকারের পক্ষ থেকে মায়ের ডেথ সার্টিফিকেটই দেওয়া হয়নি। দেহ হস্তান্তরেরও কোনও নথি না পাওয়ার অভিযোগ জানালেন তিনি। মহাকুম্ভের দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন, সেই টাকা আদৌ মিলবে কিনা তাই নিয়ে চিন্তায় মৃতার পরিবার।

মহাকুম্ভের ঘটনা নিয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যোগী সরকারের চরম অব্যবস্থার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ডেথ সার্টিফিকেটের নিয়ম এটা নয়।এভাবে হয় না। যার কেউ নেই, তার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। যা যা করণীয় আমরা করব। কুম্ভ জাতীয় মেলা আর কেন্দ্র দিয়েছে কোটি কোটি টাকা । তাও এমন হল। ওরা ভক্তদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। কুম্ভে তো সড়ক পথে যাওয়া যায়, গঙ্গাসাগরে যেতে হয় জলপথ পেরিয়ে । দেখে শেখা উচিত বলেও এদিন কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন অরূপ বিশ্বাস ।

বিভিন্ন সূত্রে খবর, কুম্ভমেলায় পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ২৫। বাংলা থেকেও বহু পূণ্যার্থী অমৃতস্নানে গিয়েছিলেন মহাকুম্ভে। অনেকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন। কুম্ভের এই অব্যবস্থার ঘটনাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বাংলার তৃণমূল নেতারা।

পাল্টা তৃণমূলকে বিধঁতে অতীতের পানিহাটিতে দইচিড়ের মেলার কথা তুলে ধরল বিজেপি।বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পানিহাটিতে চিড়ের মেলাতে একজন নেতার যাওয়ার পরে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন।তার পরিবারের জন্য এই সরকার কী করেছে? প্রশ্ন তুললেন এই বিজেপি নেতা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।