সংক্ষিপ্ত

খাস কলকাতায় রহস‌্যজনক মৃত্যু এক নাবালিকার। বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। জানা যাচ্ছে, তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে।

খাস কলকাতায় রহস‌্যজনক মৃত্যু এক নাবালিকার। বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। জানা যাচ্ছে, তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে।

মানিকতলানিবাসী ঐ ছাত্রীর এক বন্ধুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সেই নাবালিকাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় সেই নাবালিকার। অন্যদিকে, তাঁর সেই বন্ধুও নবম শ্রেণিতে পাঠরত। সেই ছাত্রটির সঙ্গে নবম শ্রেণির এই নাবালিকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও ছিল বলে জানা যাচ্ছে।

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাদের মেয়ের। সেই বন্ধুর বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার পর কিভাবে ওই নাবালিকার শরীরে বিষক্রিয়া হল, তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। নাবালিকার পরিবারের তরফে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অন্যদিকে, পুলিশ ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে এবং শুরু হয়েছে তদন্ত। মানিকতলা অঞ্চলের একটি বালিকা বিদ‌্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল এই নাবালিকা। সে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যেত। সেখানেই তাঁর সঙ্গে বাগমারি অঞ্চলের ওই কিশোরের আলাপ হয় এবং ধীরে ধীরে গভীর বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। সেইসঙ্গে, ওই বন্ধুর বাড়িতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মেয়েটির পরিবারের তরফে কোনও বাধাও ছিল না। কিন্তু মেয়েটির পরিবার দাবি করেছে যে, গত ২৩ মে ওই নাবালিকা তাঁর সেই ছেলে বন্ধুটির মায়ের আচরণে বেশ দুঃখ পায়। এমনকি বাড়িতে এসে কান্নাকাটি শুরু করে। তারপর গত শনিবার, দুপুরে সে আবার ওই বন্ধুর বাড়িতে যায়। কিন্তু দুপুরবেলা নাবালিকার মা ফোন করে তাঁকে সেই বন্ধুর বাড়ি থেকে চলে আসতে বলেন।

তার ঠিক ১৫ মিনিট বাদেই সেই বন্ধুর ফোন আসে নাবালিকার মায়ের কাছে। ওই বন্ধু নাবালিকার মাকে জানায়, তাঁর মেয়ে নাকি লাঞ্চ করে ঘুমাচ্ছে। বিকেলে ফের ফোন করে সেই বন্ধু এবং বলে, তাদের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এই খবর পেয়েই সেই কিশোরের বাড়িতে যায় মেয়েটির মা এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান, মেয়েকে গাড়িতে তুলে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি এর আগে একবার শ্বাসকষ্টে ভুগেছে। কিন্তু কিভাবে তাঁর মৃত্যু হল, সেই নিয়েই ঘনাচ্ছে রহস্য। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য পুলিশ অপেক্ষা করছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।