Pahalgam terror attack: গত কয়েক বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটন ব্যবসা ফুলেফঁপে উঠেছে। সারা দেশের মতোই পশ্চিমবঙ্গ থেকেও অনেকেই ভূ-স্বর্গে বেড়াতে যাচ্ছেন। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনার পর অনেকেই কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে দ্বিধায়।
Pahalgam Terrorist Attack: কয়েকদিন আগেই কাশ্মীর থেকে ঘুরে এসেছেন। মঙ্গলবার সকালেও সেই স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বরফে ঢাকা পহেলগাঁওয়ের ভিডিও শেয়ার করেন। দুপুরেই যে ভূ-স্বর্গ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে, তা ভাবতেই পারেননি। এখন আতঙ্কে হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা কোহেলি তালুকদার দাস। এই যুবতী সপরিবারে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন। ভালোভাবে ফিরে এসেছেন। তাঁরা ফিরে আসার পর আত্মীয়রা জম্মু ও কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছেন। তাঁরা এখনও বাড়ি ফেরেননি। তবে নিরাপদেই আছেন। কাশ্মীর থেকে ঘুরে আসার পর ফের সেখানে যাওয়ার কথা আলোচনা করছিলেন কোহেলি, তাঁর স্বামী শম্ভু দাস। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি হয়ে গেল, তাতে আর কোনওদিন ভূ-স্বর্গে পা রাখবেন কি না, সে বিষয়ে ভাবছেন তাঁরা।
'আতঙ্কে রাতে ঘুম হয়নি'
এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে কোহেলি জানালেন, 'আতঙ্কে রাতে ঘুমোতে পারিনি। ঘুমের মধ্যে মনে হচ্ছিল গুলি চলছে। আমরা কয়েকদিন আগেই পহেলগাঁওয়ে ছিলাম। এত বরফ পড়েছিল যে বৈসরন ভ্যালি যেতে পারিনি। তবে পহেলগাঁও ভালোভাবেই ঘুরেছিলাম। আমি বরফের মধ্যে দাঁড়িয়ে জন্মদিনের কেক কেটেছিলাম। খুবই সুন্দর জায়গা। কিন্তু স্থানীয় লোকজন একটু অন্যরকম। তাকানো-কথাবার্তার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাব নেই। শ্রীনগর, সোনমার্গের মতো জায়গার স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে পহেলগাঁওয়ের স্থানীয় মানুষের পার্থক্য আছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন, আমরা যেন কারও সঙ্গে তর্ক বা কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে না পড়ি। এখন বুঝতে পারছি কেন বলেছিলেন। আমরা দেখেছিলাম, পহেলগাঁও, শ্রীনগরে সব জায়গায় সেনাকর্মীরা সবসময় টহল দেন। তারপরেও কী করে এরকম জঙ্গি হামলা হল বুঝতে পারছি না। আমার মাসিরা পরশুদিন পহেলগাঁওয়ে ছিল। ওরা এখন জম্মু চলে এসেছে। রামবান দিয়ে আসতে পারেনি বলে অনেক ঘুরে আসতে হয়েছে। এছাড়া আর কোনও সমস্যা হয়নি।'
পহেলগাঁওয়ে কার্যত কারফিউ
মঙ্গলবার জঙ্গি হামলার সময় পহেলগাঁওয়ে ছিলেন হুগলির ব্যান্ডেলের বাসিন্দা পিয়ালি মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, জঙ্গি হামলার পর থেকে কারফিউয়ের মতো অবস্থা। হোটেল থেকে বেরোতে পারছেন না, খাবার পাচ্ছেন না। যত দ্রুত সম্ভব পহেলগাঁও ছাড়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
কাশ্মীর বেড়াতে যাবেন? দ্বিধায় পর্যটকরা
আগামী সপ্তাহে কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল গুজরাটের আমেদাবাদের যুবক মলয় পাঞ্চালের। পেশায় এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ আধিকারিক মলয় কাশ্মীর ভ্রমণ বাতিল করে দিয়েছেন। তবে এই পরিস্থিতিতেও ভূ-স্বর্গে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল না করার কথাই ভাবছেন মলয়ের সহকর্মী শান্তনু গুহঠাকুরতা। হাওড়ার সাঁতরাগাছির এই যুবক এখন কর্মসূত্রে ছত্তীশগড়ের রায়পুরে আছেন। সেখান থেকেই মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এখনও সেই পরিকল্পনাতেই স্থির আছেন শান্তনু। তবে তিনি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। কাশ্মীরের পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। কাশ্মীরের পর্যটন সংস্থাগুলির কর্মীরা মুখ খুলছেন না। তাঁরা লোকসানের ভয় পাচ্ছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


