সংক্ষিপ্ত

উত্তাল গোটা দেশ, আন্দোলনে মুখর রাজ্যে। দাবি একটাই ‘অভয়া’-র বিচার চাই। আর এরই মাঝে মুখ খুলেছেন শ্মশান কর্তা।

উত্তাল গোটা দেশ, আন্দোলনে মুখর রাজ্যে। দাবি একটাই ‘অভয়া’-র বিচার চাই। আর এরই মাঝে মুখ খুলেছেন শ্মশান কর্তা।

রাতের অন্ধকারে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সব অংশের মানুষ। এমনকি, রাজ্যের উপর কোনও আস্থা না রেখে আগেই কলকাতা হাইকোর্ট এই কেসের তদন্তভার তুলে দিয়েছে সিবিআই-এর হাতে।

আর মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট পুলিশের উপরেই কোনও আস্থা রাখতে পারেনি। তাই চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবারই হাসপাতালে পৌঁছে যায় সিআইএসএফ (CISF)।

আর এবার সামনে আসছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। প্রসঙ্গত, আর জি কর মামলায় নিহত ডাক্তারকে পুলিশ জোর করে এবং তড়িঘড়ি দাহ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে। উল্লেখ্য, এর আগে কিন্তু নির্যাতিতার বাবাও এই নিয়ে অভিযোগ তোলেন। আর এখন খোদ শ্মশানের ম্যানেজার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন।

আরও পড়ুনঃ

পুলিশে আস্থা নেই! 'সুপ্রিম' নির্দেশে আর জি করে নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফ, বাহিনী হাজির 

কার্যত, নির্যাতিতার বাবার কথাও মেনে নেন তিনি। আর এতেই ‘তিলোত্তমা’-র ময়নাতদন্তের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, শ্মশানের ম্যানেজার বলেছেন, “পুলিশ বাকি মৃতদেহের আগেই আর জি কর-এর মৃতদেহকে দাহ করতে বলেছে। নিহতের পরিবার এখনও আসেনি। তার আগেই শ্মশানে আসে পুলিশ। তারা আমাদের বলতে থাকে, তাড়াতাড়ি করো, তাড়াতাড়ি করো।”

আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে যে, কেন পুলিশ এই তাড়াহুড়ো করল?

আরও পড়ুনঃ

'পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত, রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়েছে মানুষ' বিস্ফোরক রাজ্যপাল

সেই ম্যানেজারের কথায়, “আমাদের ছোট জায়গা। সেদিন মানুষের থেকে বেশি পুলিশ ছিল। পুলিশ বলছিল অন্য কোনও বডি আসলে, পরে করতে। আগে এই বডিটা করতে হবে।”

কীসের এত তাড়া ছিল সেদিন? উঠছে প্রশ্ন।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।