Kolkata Fire News: শীতের রাতে ফের কলকাতায় ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। চোখের সামনে পুড়ে ছাই একের পর এক ঝুপড়ি। মাথার উপচে ঘরের চাল হারিয়ে অসহায় স্থানীয় বাসিন্দারা। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Kolkata Fire News: রাতের অন্ধকারে কলকাতা ইকোপার্ক সংলগ্ন ঘুনি ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর না মিললেও রাত পেরিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরেও চলছে আগুন নেভানোর কাজ। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন। যেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেই এলাকা ঘিঞ্জি ও ঘন জনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণেও বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। ঘুনি ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট না হলেও ঘনঘন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এবং সেই কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোথায় ঘটেছে?
সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানিয়েছেন, একাধিক ঝুপড়িতে প্রচুর প্লাস্টিকের দ্রব্য ছিল। তাই আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আগুন যাতে আর না ছড়ায় তার জন্য দমকল কর্মীরা উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি কুড়িটি ইঞ্জিনের ব্যবস্থা করেছেন আগুন নেভানোর জন্য। প্রয়োজন বোধে সমস্ত ইঞ্জিনকে কাজে লাগানো হবে। দমকল আসতে ওই এলাকায় অসুবিধা সম্মুখীন হয়েছিল সেই বিষয়ে দমকলমন্ত্রী বলেন, ''সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় প্রথমে অসুবিধা হলেও পরে ঘুনির বস্তিতে দমকল ইঞ্জিন পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। তবে প্রায় তিন ঘন্টা কেটে গেল আগুন নেভাতে রীতিমতো সিমসিম খেতে হয় দমকল কর্মীদের।''
এদিকে ওই ঝুপড়ির বাসিন্দাদের দাবি, একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের তীব্রতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রথমে ৪টি এবং পরে আরও ৬টি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ১৪টি ইঞ্জিন। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। এখনও আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে সেই কাজ। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এই ঝুপড়ির বাসিন্দাদের কারও ঘরে রয়েছে খুদে সন্তান। আবার কারও ঘরে রয়েছেন বয়স্ক সদস্য। শীতের রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘরছাড়া সকলে। চোখের সামনে ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় চোখের জল বাঁধ মানছে না স্থানীয়দের। কোথায় থাকবেন তাঁরা, সেই চিন্তায় যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে সদ্য ঘরহারাদের। সব মিলিয়ে ছাইয়ের স্তূপের মধ্যে কুঁকড়ে উঠছে সদ্য ঘর হারানোর যন্ত্রণা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


