Kasba Law College Incident: কসবা কাণ্ডে মনোজিৎই মূল অভিযুক্ত। আদালতে চার্জশিট পেশ পুলিশের। কী বলছে পুলিশ? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Kasba Law College Incident: কসবা থানার মামলায় চার্জশিট দাখিল, চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পুলিশের। মোট ৬৫৮ পাতার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার কসবা আইন কলেজের ছাত্রী গণধর্ষণ মামলার তদন্তে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে মনোজিৎ মিশ্রর নাম। এছাড়াও চার্জশিটে আরও চারজনকে অভিযুক্ত হিসেবে দাবি করেছে পুলিশ। ধৃতের ফরেন্সিক পরীক্ষা ও ডিএনএ টেস্টও করা হয়েছিল। যা উল্লেখ রয়েছে ওই চার্জশিটে।

এছাড়াও বর্তমানে ধৃত ৪ জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় মেরে ফেলা, হুমকি, গণধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর, কসবা কাণ্ডের তদন্তে বড় অগ্রগতি পুলিশের। শনিবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চার্জশিটটি মোট ৬৫৮ পৃষ্ঠার। চার্জশিটভুক্ত অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে- মনোজিত মিশ্র। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা (BNS, 2023)-এর ধারা

127(2)/70(1)/77/118(1)/351(3)/140(3)/140(4)/142/238 এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন 2000–এর ধারা 67A/66E, সঙ্গে BNS-এর 61(2) মামলা চলছে আদালতে। বিষয়টি এখনও আদালতেই বিচারাধীন।

মনোজিত ছাড়াও নাম রয়েছে- জায়েব আহমেদ। তার বিরুদ্ধে BNS-এর ধারা 127(2)/70(1)/77/140(3)/140(4)/142/238 এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন 2000–এর ধারা 67A/66E, সঙ্গে BNS-এর 61(2) মামলা চলছে বলে জানা গিয়েছে। অপর অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশের চার্জশিটে নাম উঠে এসেছে প্রমিত মুখার্জির। ধৃতের বিরুদ্ধে BNS-এর ধারা 127(2)/70(1)/77/140(3)/140(4)/142/238 এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন 2000–এর ধারা 67A/66E, সঙ্গে BNS-এর 61(2) মামলা চলছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত হল- পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিরুদ্ধেও পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার BNS-এর ধারা 127(2)/70(1)/140(3)/140(4)/142/238, সঙ্গে 61(2) মামলা রুজু করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে বিপুল পরিমাণ ডিজিটাল তথ্য, ডিভাইস এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইটি আইন ও নতুন ভারতীয় ন্যায়সংহিতা অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে ৮০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও ডিএনএ রিপোর্ট।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম দিকে দক্ষিণ কলকাতার কসবা 'ল' কলেজে নিরাপত্তারক্ষীর ঘরের মধ্যে জোর করে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কলেজেরই ইউনিয়নের নেতা মনোজিৎ মিশ্র সহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে। ওই কলেজেরই এক ছাত্রী এই অভিযোগ তোলেন। তারপর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে মনোজিৎকে গ্রেফতার করে। এরপর ধীরে-ধীরে গ্রেফতার হয় প্রমিত, জইব সহ আরও চারজন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।