সংক্ষিপ্ত

আরজি কর কাণ্ডে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু জেলের রায় ঘোষণা হলেও, তিলোত্তমার পরিবার, আন্দোলনকারী চিকিৎসক এবং সুপ্রিম কোর্টের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। 

আরজি কর কাণ্ডের অবশেষে রায় ঘোষণা হল। শনিবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। আরজি কর কাণ্ডে আজ সাজা ঘোষণা হল। সঞ্জয়ের আমৃত্যু জেলের শাস্তি দিলেন বিচারক।

সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের জন্য মৃত্যু), ১০৩ (১) (খুন) ধরায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। দীর্ঘদিন তদন্তের পর কাল রায় ঘোষণা হল। তা সত্ত্বেও মিলল না একাধিক প্রশ্নের উত্তর। যেমন তিলোত্তমার মা-বাবার প্রশ্ন ছিল-

আমার মেয়ের হত্যার সঙ্গে কে কে জড়িত? তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করল কারা?

সঞ্জয় একাই এই কাজ করল নাকি পিছনে আরও কেউ?

সিবিআই-র ওপর কি কোনও চাপ এসেছে? কেন তদন্ত হচ্ছে না ঠিকভাবে ?

সন্দীপ ঘোষ এতদিন জেলে থাকা সত্ত্বেও তার চাকরিটা গেল না কেন?

কেন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অভীক কে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস?

বিধায়ক ও কাউন্সিলরের নজরদারিতে কেন তড়িঘড়ি মৃতদেহ সৎকার করা হল?

দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চাওয়া হলেও তা করা হল না কেন?

বাবা-মা পৌঁছলেও দীর্ঘক্ষণ তাঁদের বসিয়ে রাখা হল কেন? কেন সঙ্গে সঙ্গে দেখতে দেওয়া হল না তিলোত্তমার দেহ?

তিলোত্তমার দেহ উদ্ধারের পর আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কেন থানায় এফআইআর দায়ের করলেন না?

সিবিআই পাঁচ মাসে কী তদন্ত করল যে কোনও চার্জশিট পেশ করতে পারল না?

আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রশ্ন-

একা সঞ্জয় রায়ের পক্ষে এই ঘটনা সম্ভব নয়, বাকিরা কোথায়?

১৪ অগস্ট রাতে আরজি করে হামলা চালিয়েছিল কার?

সেমিনার রুমের একাংশ ভাঙা হল কেন?

সঞ্জয় একা দোষী হল, ঘটনার মোটিফ কী?

সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন-

কেন প্রথমে আত্মহত্যা বলা হয়েছিল?

কেন এফআইআর দায়ের করতে এত দেরি হল?

নির্যাতিতা নাম-ছবি কীভাবে প্রকাশ্যে এল?

কেন হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্য ন্যূনতম আলাদা বিশ্রামকক্ষ থাকবে না?

সঞ্জয়ের প্রশ্ন-

আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল, সেটা কোথায় গেল?

আমি গরিব মানুষ আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে, আমি কেন করব?