সংক্ষিপ্ত
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে এক মাসেরও বেশি সময় পরে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎমণ্ডলকে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সিবিআই সূত্রের খবর কলকাতা পুলিশের কয়েকজন কর্তাও রয়েছে তাদের নজরে। কেস ডায়েরি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কলকাতা পুলিসের কয়েক জন কর্তাকে সন্দেহ করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই একজনকে জেরাও করা হয়েছে।
সিবিআই আই শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে টালা থানার ওসিকে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করা হয়েছিল। তারপর রাতের দিকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, পুলিশ আধিকারিক বা প্রাক্তন অধ্যক্ষ দুজনেই সরাসরি খুন ও ধর্ষণকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু প্রমাণ লোপাটে তাদের ভূমিকা ছিল। সূত্রের খবর, নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারে কেন ১৪ ঘণ্টা লাগল- তাই নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিজিৎ মণ্ডলকে। তার সঠিক উত্তর দিতে পারেনি পুলিশ কর্তা।
সিবিআই সূত্রের খবর, আরজি কর কাণ্ডের কেস ডায়েরিতেও রয়েছে কিছু ভুল। সেগুলি ইচ্ছেকৃত নয় বলেও মনে করেছে তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তাকেও ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে জেরা করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর তদন্তের বিভিন্ন ধাপে যা ভুল তা কলকাতা পুলিশের সিট-এর নজরদারিতে হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই কর্তার কথায়,'যা অবস্থা তাতে নতুন করে কেস ডায়েরি লেখা গেল ভাল হত। কেস ডায়েরি রীতিমত বিভ্রান্তিকর।' সিবিআই সূত্রের খবর জিজ্ঞাসাবাদের সময় তৎকালীন টালা থানার ওসি যথেষ্ট সহযোগিতা করেননি। পাশাপাশি তদন্ত নিয়ে কলকাতা পুলিশের যেসব কর্তাদের সঙ্গে তারা ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন তাদের অনেকেই রীতিমত আড়ষ্ট। তদন্তকারীদের একাংশের মতে তদন্তের প্রাথমিকপর্বে রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করা হয়েছে। এর আগে নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাদেরকেও একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর কলকাতা পুলিশের তদন্তের খামতিগুলিও তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।